চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। এই মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। মার্চে এর হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মার্চে খাদ্যপণ্যের দাম গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। আলাদা করে রুটি ও সকালের নাশতার সিরিয়াল জাতীয়...
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের মতে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের নিচে নেমে যাবে এবং আগামী ৫ বছর প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ শতাংশ থাকবে।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ
গত প্রায় এক বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়তে বাড়তে আগস্টে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে দাড়ায়, যা ছিল ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের সাপ্তাহিক ও মাসিক মূল্য সূচক ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।
আগামী বছর বাংলাদেশ দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ
এর আগে, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২৯ শতাংশের সামান্য বেশি রেকর্ড করা হয়েছিল।
আগামী বছর বাংলাদেশ দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২৯ শতাংশের সামান্য বেশি রেকর্ড করা হয়েছিল।
পাকিস্তানে বিদায়ী সপ্তাহে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ মাসের মধ্যে সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
গত ৭ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে সরকার যে অর্থ নিয়েছে, তার মধ্যে ১১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে।
বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় টানা পঞ্চম মাসে মূল্যস্ফীতি কমে জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় গত বছর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল খাদ্য-বহির্ভূত খাতে। খাবারে এটি ছিল ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
আর্থিকখাতে খেলাপি ঋণের মাত্রা কমিয়ে আনাসহ আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করার বিষয়ে সরকার সচেষ্ট আছে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন খরচ এবং মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও দুর্ভোগে পড়বে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার অব্যাহত থাকতে পারে।