দাম বাড়লেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ওষুধ বিক্রিতে অন্তত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১৯ বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে; এগুলো রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন।
২০২২-২৩ সালে অর্থনীতি বেড়েছে ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ।
সরকার ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি।'
সাধারণত অর্থনৈতিক কারণে একটি পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি কাজের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান। বিয়ের মতো সামাজিক কারণেও মানুষকে নতুন জায়গায় চলে যেতে হয়।
মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ ব্যয় কমাতে বাধ্য হওয়ায় সাবলেট থাকছেন
‘একের পর এক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশকেও করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ও পরবর্তী সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’
যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে নীতি সুদহার বা রেপো রেট। তাই বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো অর্থ সরবরাহ, মূল্যস্ফীতি ও তারল্য নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহার করে থাকে।
দেশের শত শত পরিবার প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান দিতে লড়াই করছে। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও জীবনযাত্রার ব্যয় তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ।
আগামী বছরেরও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারের কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও করপোরেট নেতা। তারা
অথচ স্বাধীনতার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কাও ভোক্তা মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে যে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে তার অর্ধেকই স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়নের কারণে হয়েছে।
চলতি বছরের নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা জাতীয় গড় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশের চেয়ে বেশি। বিপরীতে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
খানার আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস) ২০২২ সালের তথ্য অনুসারে, জাতীয় পর্যায়ে দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। এটি গ্রামাঞ্চলে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ১৪ দশমিক সাত শতাংশ।
এ বছরের জুনে জাতীয় বাজেটে নির্ধারিত উচ্চা জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজস্ব সমন্বয় কাউন্সিল। আগামীকাল কাউন্সিলের বৈঠকের কথা আছে।
এছাড়া নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, অক্টোবরে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যমূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।