জুনে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয় ৭.৩৯ শতাংশ।
সামনের অর্থবছরে ৫৫ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে, চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৫০ লাখ। এই পরিবারগুলো ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি পর্যন্ত চাল পাবে। প্রতিটি পরিবার এই সহায়তা পাবে ছয় মাস...
গত ২৭ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি।
আগামীকাল ২ জুন পেশ করতে যাওয়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ।
করোনা মহামারি শুরুর অর্থবছর বাদ দিলে গত ৩৪ বছরের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।
কয়েকটি কারখানা অফিস ইউটিলিটি ব্যবহার ও ব্যাংক নির্ভরতা কমানো এবং অর্থায়নের বিকল্প উৎস খোঁজার পথে হাঁটছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত কয়েক মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমায় এপ্রিলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে।
মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
তবে, ২০২৬ সালে দারিদ্র্যের হার কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন বছরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে কি না এর উত্তর রাজনীতিবিদদের কাছে।
বিশ্বব্যাংকের অক্টোবরের কমোডিটি মার্কেট আউটলুকে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য পাঁচ শতাংশ ও ২০২৬ সালে আরও দুই শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থা অস্পষ্ট ছিল। গত ৫ আগস্ট তার পতনের পর ব্যাংক খাতের আসল চিত্র বের হতে শুরু করে।
সামগ্রিক অস্থিরতার মধ্যে ২০২৪ সালে চাকরির বাজার ভালো ছিল না।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে নয় শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে।
পণ্যের দামের অস্থিরতা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকেও জর্জরিত করেছে। এসব দেশ খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে প্রায় পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে।
সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য আট লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পরিকল্পনা করছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
‘সরকার হয়তো খাদ্যশস্য মজুদের সংকটে ভুগছে।’
গত নভেম্বরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।