আইএমএফ এই পরামর্শ দিয়েছে কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করেনি।
সফররত দলটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি, সরকারি ঋণ, আসন্ন বাজেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর কর্মক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করবে।
মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমেছে।
অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোজার মাসে ফলের চাহিদা যথেষ্ট বাড়ে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকুর) মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রপ্তানিকারক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা তাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাউন্টার ট্রেড চুক্তি করতে পারবেন।
বৈদেশিক মুদ্রার ন্যূনতম রিজার্ভ (এনআইআর) ও কর-রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয়।
আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী- গত বুধবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর মাধ্যমে ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে।
বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদল জানতে চায়- বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যস্ফীতির মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশে কেন উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এক জায়গায় গিয়ে রিজার্ভ ফুরিয়ে যাবে। তখন এলার্মিং পর্যায় আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন এবং এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মতামত...
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসে তা ছিল ১৭ কোটি ৯০...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ম্যানুয়াল অনুযায়ী গত সপ্তাহে আমদানি বিল পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার মোট...
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীর গতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো সংবাদ নয়, বরং তা উদ্বেগজনক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ৩৫টি তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সর্বমোট মুনাফা ৯ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ দেশের আমদানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্য কিনতে রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন। ফলে ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমবে।