বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ছাপিয়ে সরাসরি সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
সিপিডির গবেষণা বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে।
বিদেশি বইয়ের ওপর সব কর অব্যাহতি দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে সিপিডি।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তনে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে আমি সারাজীবন ধরে যে চেষ্টা করেছি, তার প্রতিফলন আমি সবসময় সিপিডির কাজে দেখেছি।
ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতাকে দ্বিতীয় বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরা হয়েছে। এরপর আছে অদক্ষ সরকারি আমলাতন্ত্র, মূল্যস্ফীতি ও মূলধন পাওয়ার সীমিত সুযোগ।
‘প্রবৃদ্ধির তথ্যে গুরুতর সমস্যা এবং তথ্য ও তথ্যের রাজনীতিকরণ ছিল’ উল্লেখ করে দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রবৃদ্ধির যে চিত্র দেখানো হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা না হলে সংস্কার নিয়ে এগিয়ে যাওয়া...
‘অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সঞ্চালন অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে চীনা বিনিয়োগকারীরা এ দেশের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না।’
যখন কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভিশন ঘাটতির মুখে পড়ে, তখন তার দুর্বল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সামনে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই ক্ষতির পরিমাণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের এক দশমিক ৮১ শতাংশ।
সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে।
‘এটা অন্যায়, জনগণের সঙ্গে অবিচার।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া ৬৬ দশমিক দুই শতাংশ ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা জ্বালানি ঘাটতিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছেন।
‘সিপিডিতে থাকা রাশিয়ান অর্থনীতিবিদরা ঘরে বসে অঙ্ক কষে বাহবা পাওয়ার জন্য আজগুবি নম্বর বের করেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। কিছু পত্রিকার কাটিং জোগাড় করে একটা প্রতিবেদন তৈরি করেছে।’
‘আওয়ামী লীগে নামে যারা শান্তি বিঘ্নিত করবে, নির্বাচনের পরিবেশকে দূষিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষ থেকে এটা আমাদের প্রত্যাশা’
এই সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বড় অংকের লুটপাট হয়েছে।
সিপিডি বলছে, খেলাপি ঋণ (এনপিএল) এখনো অনিয়ন্ত্রিত। এটি আর্থিক খাতের জন্য হুমকি। সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত ধারাবাহিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির হার ও মজুরি বৃদ্ধির হারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান নিম্ন আয়ের ও অদক্ষ শ্রমিকদের জীবনযাত্রার খরচ কমাতে বাধ্য করছে।
দুই বছর আগে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির আওতায় ২০ কোটি ডলার ঋণের চূড়ান্ত কিস্তি হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশকে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে শ্রীলঙ্কা।