যতদিন পর্যন্ত পৃথক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা চিরস্থায়ী না হচ্ছে, ততদিন শান্তিও স্থায়িত্ব পাবে না বলে মন্তব্য করেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজা দখলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন নেতানিয়াহু। দাবি করেন, এটাই যুদ্ধ অবসানের সেরা ও দ্রুততম উপায়।
হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সংগঠনের হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের কয়েকটি সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনিরাও এখন হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। তারা তাদের মুক্তির জন্য লড়ছে। তারা এই ভয়াবহ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি চায়। তাদের কাছে শুধু ইসরায়েলিরাই জিম্মি থাকছে না। সঙ্গে ২০ লাখ...
ওয়াশিংটন প্রতি বছর ইসরায়েলকে লাখো ডলারের সামরিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার যুদ্ধ শুরুর পর মার্কিন সহযোগিতার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পকে পাঠানো চিঠিতে কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের পেশাদারি মূল্যায়ন হলো, হামাস এখন আর ইসরায়েলের প্রতি কোনো ধরনের কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করছে না।’
ইসরায়েল কানাডার ওই ঘোষণার প্রতি চরম নিন্দা জানিয়ে বলেছে এটি ‘আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চালু হওয়া একটি বিকৃত প্রচারণা’।
সুরক্ষিত ও স্বীকৃত সীমানা বজায় রেখে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারণার প্রতি দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন জানিয়ে এসেছে জাতিসংঘ।
প্রথম ধাপ সফল হলে আরও দুই ধাপে চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির কথা রয়েছে। এই দুই ধাপ শেষে সব বন্দির মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুক্তি পাওয়া তিন নারীর নাম এমিলি ডামারি, রোমি গোনেন ও ডোরন স্টাইনব্রেগার
হামাস তিনজন ইসরায়েলি নারী বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা সবাই নারী ও শিশু।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, ‘বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আজ আমরা রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও ডোরন শানবার খাইরকে (৩১) মুক্তি দিতে যাচ্ছি।’
নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতি মতে, তিনি এখনো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দেননি।
বিশ্বকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ইসরায়েল চুক্তির শর্তগুলো ভঙ্গ না করে
ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে এবং এর শর্তগুলো খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত আছে।
সব মিলিয়ে, হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান ও সীমান্ত এলাকায় নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ৪০১ এ উপনীত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এ কথা স্বীকার করেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নেতাদেরও একইভাবে ‘নির্মূল’ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, ‘মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা বিশ্বাস করেন, ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতমূলক হলেও হামাস এখন জিম্মি-মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিতে পারে।’