মোবাইল ইন্টারনেট হতে পারে নতুন আয়ের উৎস, ধারণা ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারীর

টেলিনর এশিয়া পরিচালিত সমীক্ষার ফল
ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মনে করেন, মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে আয়ের নতুন উৎস তৈরি করা সম্ভব।

সম্প্রতি টেলিনর এশিয়া পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রায় ৮ হাজার ব্যবহারকারীর মধ্যে 'ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড' শীর্ষক এই সমীক্ষা চালানো হয়।

সমীক্ষায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল অভিযোজনের প্রবণতাগুলো বেরিয়ে এসেছে। এতে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের কারণে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধির মতো কিছু বিষয় উঠে এসেছে।

সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ মনে করেন, তারা আয়ের নতুন সুযোগ পেতে পারেন। ৫৪ শতাংশ মনে করেন নতুন চাকরি ও কর্মজীবনের খোঁজ পেতে পারেন।

এ ছাড়াও, ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারী মনে করেন মোবাইল ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির কারণে তাদের কর্মদক্ষতা ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং ২৬ শতাংশ মনে করেন তাদের দক্ষতা বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।

ক্যারিয়ার ও দক্ষতা উন্নয়নে মোবাইল ডিভাইস ও প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ বাংলাদেশি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

সমীক্ষায় জেন্ডার-ভিত্তিক তুলনায় ৭৩ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, তাদের কর্মজীবন ও দক্ষতা বিকাশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করেছে।

৫৪ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করছেন, কাজের জন্য আগামী ৬-১২ মাসের মধ্যে তাদের মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

তবে, কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় বাধা বলে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬১ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করেন।

আর ৪৯ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তির প্রতি আস্থার অভাব বড় বাধা এবং ৬০ শতাংশ মনে করেন, দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাব উল্লেখযোগ্য বাধা।

Comments