জনপ্রিয় ইউটিউবার মি.বিস্টের এক ভিডিওতে আয় আড়াই লাখ ডলার

মি. বিস্ট - যার আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন - আগে বলেছিলেন ভিউ ১০০ কোটি হলেও এক্সে ভিডিও পোস্ট করাটা উপযুক্ত হবে না।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার মি. বিস্ট। ফাইল ছবি: এএফপি
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার মি. বিস্ট। ফাইল ছবি: এএফপি

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার মি. বিস্ট এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করে আড়াই লাখ ডলার আয় করেছেন। এটাই এক্সে তার প্রথম সরাসরি পোস্ট করা ভিডিও।

তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন এই প্ল্যাটফর্ম ক্রিয়েটরদের আয়ের জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ এখানে ভিডিও থেকে বিজ্ঞাপনী আয় খুব সামান্য।

তবে অবস্থান বদলে সম্প্রতি তিনি নিজের একটি পুরোনো ভিডিও এক্সে পোস্ট করেন এবং সাড়ে ১৫ কোটিরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। এক্সের স্বত্তাধিকারী ইলন মাস্ক নিজেও ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।

এই ভিডিওটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউটিউবে পোস্ট করেছিলেন তিনি। ইউটিউবে এখন পর্যন্ত ২১ কোটিরও বেশি মানুষ এটি দেখেছেন। মি. বিস্ট মূলত ইউটিউবের জন্যই ভিডিও তৈরি করেন এবং এখান থেকেই বেশিরভাগ অর্থ আয় করেন।

২০২২ সালের অক্টোবরে টুইটার কিনে নেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। পরে তিনি এর নাম পরিবর্তন করে 'এক্স' রাখেন। মাস্কের অধীনে আসার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির আয় নাটকীয়ভাবে কমতে থাকে এবং আয় বাড়ানোর জন্য তিনি একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেগুলো খুব সফল হয়েছে, তা বলা যাবে না। ধারণা করা হচ্ছে, মি. বিস্টকে এক্সে ভিডিও পোস্ট করাতে রাজি করানোটা মাস্কের এ রকমই আরেকটি ব্যবসায়িক কৌশল। 

ইলন মাস্ক, স্টিভ জবস, বিল গেটস, টুইটার, স্পেসএক্স, টেসলা,
ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো বিজ্ঞাপনী আয় ভাগাভাগি মডেলে পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে এক্সে আনতে চান মাস্ক। তিনি বলেছেন, ইউটিউব থেকে ক্রিয়েটররা বিজ্ঞাপনী আয়ের যে ভাগ পান, এক্সে তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি পাওয়া সম্ভব।

তবে মাস্কের এই উদ্যোগ সফল হবে কিনা তা বলা মুশকিল, কারণ এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে।

ঘৃণা ছড়ানো এবং ভুয়া তথ্য মোকাবেলা নিয়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে মাস্কের বিরোধের জেরে বিজ্ঞাপন থেকে এক্সের আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

মি. বিস্ট - যার আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন - আগে বলেছিলেন ভিউ ১০০ কোটি হলেও এই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও পোস্ট করাটা উপযুক্ত হবে না।

তবে তিনি বলেছিলেন, এক্সে ভিডিও দিয়ে কত আয় করা যায়, তা দেখতে আগ্রহী তিনি।

প্রথম ভিডিও থেকে আড়াই লাখ ডলার আয়ের প্রেক্ষাপটে মি. বিস্ট তার এক্স পোস্টে জানান, 'ভিডিওটি যে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, তা বিজ্ঞাপনদাতারা খেয়াল করে সেই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন কিনেছেন (আমি মনে করি)। এই ভিডিওতে ভিউ প্রতি আমি যে আয় করেছি, তা অন্যদের চেয়ে বেশি বলেই আমার ধারণা। 

তিনি জানান, ভিডিওটি থেকে তিনি যে আয় করেছেন, তা দৈব চয়ন ভিত্তিতে ১০ জন মানুষকে বিলিয়ে দেবেন। একটিমাত্র ভিডিও থেকে আড়াই লাখ ডলার আয়কে ভালো বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মি. বিস্ট ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এর পুনরাবৃত্তি করা কঠিন হবে।

বিজ্ঞাপন ও মিডিয়া বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ডব্লিউ মিডিয়া রিসার্চের কর্মকর্তা কার্স্টেন ওয়েইড বলেন, 'তিনি (মি. বিস্ট) বলেছেন যে তিনি একটি ভিডিও থেকে আড়াই লাখ ডলার আয় করেছেন। একটি ভিডিওর জন্য এই আয় খারাপ না। তবে এটি অর্জন করতে হলে আপনার বিশাল পরিমাণ দর্শক থাকতে হবে।'

২০২২ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, মিস্টার বিস্ট তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বছরে ৫৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। বর্তমানে তার চ্যানেলে ২৩৪ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার আছে, যা ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সূত্র: বিবিসি, ফোর্বস

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Price hike of essentials: Poor, middle class in a tight corner

Harunur Rashid, a retired government employee, was taken aback by the steep price rise of okra at the capital’s Karwan Bazar yesterday.

8h ago