মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে ফেসবুক, অভিযোগ সাবেক কর্মীর

ফেসবুকের লোগো। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
ফেসবুকের লোগো। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

স্মার্টফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, থার্ড-পার্টির কাছে সেসব তথ্য শেয়ারের মতো নানা বিতর্ক রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এবার ব্যবহারকারীর অজান্তে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমিয়ে ফেলার মতো অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।  
 
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মচারী ও ডেটা সায়েন্টিস্ট জর্জ হেওয়ার্ড নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ''তথাকথিত 'নেগেটিভ টেস্টিংয়ের' কারণে ফেসবুক গোপনে ব্যবহারকারীর ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার কারণ হতে পারে। 

নেগেটিভ টেস্টিং মূলত সফটওয়্যার পরীক্ষার একটি পদ্ধতি। একটি অ্যাপ বা সফটওয়্যার অপ্রত্যাশিত আচরণ এবং পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

হেওয়ার্ড ফেসবুকের ম্যানেজারকে এটি ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করবে জানালেও সে কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং কয়েকজনের ক্ষতি হলেও বৃহত্তর জনসাধারণের উপকার হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তারপর নেতিবাচক পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকার করলে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানান তিনি। 
 
ফেসবুক কি সত্যিই ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করছে?
  
সাবেক ওই কর্মচারীর মতে, ফেসবুক নেগেটিভ টেস্টিংয়ে যুক্ত ছিল। তার কারণ 'কীভাবে সুচিন্তিত নেগেটিভ টেস্টিং চালানো যায়' শিরোনামে উদাহরণসহ একটি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নথি দেওয়া হয়েছিল তাকে। যদিও এখানে তিনি কোনো উদাহরণের কথা প্রকাশ করেননি।

সাধারণত নেগেটিভ টিস্টিং কোনো বিতর্কিত কাজ নয়, কারণ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদের সফটওয়্যার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে হয়। তবে ফেসবুক যদি অনুশীলনের অংশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহারকারীদের ফোনের ব্যাটারি হ্রাস করে তবে অবশ্যই এটি যৌক্তিক কারণের সীমা অতিক্রম করেছে।  


 
হেওয়ার্ডের যুক্তি অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃতভাবে একজন ব্যবহারকারীর ফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে গেলে ফোন ঘন ঘন চার্জ করতে হয়, যা ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট করতে পারে। এ ছাড়া এজন্য ব্যবহারকারীর জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, কারণ ফোনে চার্জ না থাকলে অনেক সময় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করাও দুরূহ হতে পারে।
 
 

তথ্যসূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি

গ্রন্থনা: আসরিফা সুলতানা রিয়া 
 

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

18h ago