আইফোন এত জনপ্রিয় কেন

মোড়ক উন্মোচনের ৬ মাস পর জুনে এসে প্রথম আইফোন বাজারে এসেছিল। সেই থেকে শুরু স্টোরের সামনে গ্রাহকের লাইন ধরার প্রচলন। ২০২২ সালে প্রকাশিত বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সূচনালগ্নে অ্যাপলের শেয়ারদর ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ গুণে বৃদ্ধি পায়’। প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর ২০০৭ সালে অ্যাপল ১৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোম্পানি ছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যা বিশ্বের প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। 
আইফোন এত জনপ্রিয় কেন
ছবি: অ্যাপল

মাত্র ১৫ বছর আগে স্যান-ফ্রান্সিসকোর মসকোন কনভেনশন সেন্টারের মঞ্চে উঠে ইতিহাস সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছিলেন অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। একটি আইপড, একটি ফোন ও একটি ইন্টারনেট মোবাইল কমিউনিকেটরকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া প্রথম ফোনটি কেবল ইতিহাসই গড়েনি, প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিটা আবিষ্কার মানব জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আইফোন ঠিক তেমনই একটি আবিষ্কার, যা এই ডিজিটাল সমাজ ব্যবস্থার ভিত স্মার্টফোনের ব্যবহারই বদলে দিয়েছে। 
 
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গেজেট বলেও আইফোনের মাহাত্ম্য প্রকাশ করা যায় না। বাজারের সবচেয়ে মূল্যবান, রোমাঞ্চকর এবং অবিশ্বাস্য প্রাযুক্তিক বিস্ময়ের ফসল বলেও এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটির তাৎপর্য ঠিকভাবে প্রকাশ করা যায় না। সমগ্র বিশ্বকে মানবজাতির হাতের তালুতে বন্দি করার যে ভিত রচিত, সেখানেই বহাল তবিয়তে নিহিত আছে আইফোনের মূল অবদান।

প্রথম আইফোন হাতে সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। ফাইল ছবি: রয়টার্স
প্রথম আইফোন হাতে সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কথা বলা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ইন্টারনেট চালানো, অবস্থান জানা, ছবি তোলা, ভিডিও করা থেকে শুরু করে সম্পাদনা পর্যন্ত একটা ফোনে কি করা যায় না? এই মাল্টি-ফাংশনাল ফোন কিংবা আধুনিক স্মার্টফোনের পথিকৃৎ বলা চলে আইফোনকে। যদিও ২০০৭ সালের আগেই আইবিএম তাদের স্মার্টফোন বাজারে এনেছিল। এমনকি ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ও ঘটেছিল আইফোনের আগে।
 
মোড়ক উন্মোচনের ৬ মাস পর জুনে এসে প্রথম আইফোন বাজারে এসেছিল। সেই থেকে শুরু স্টোরের সামনে গ্রাহকের লাইন ধরার প্রচলন। ২০২২ সালে প্রকাশিত বার্তা সংস্থা 'রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সূচনালগ্নে অ্যাপলের শেয়ারদর ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ গুণে বৃদ্ধি পায়'। প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর ২০০৭ সালে অ্যাপল ১৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোম্পানি ছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যা বিশ্বের প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। 

অ্যাপলের অভূতপূর্ব এই উত্থানের ভিতটা গড়ে দেয় আইফোন। অ্যাপলের সাফল্যের কেন্দ্র হচ্ছে অ্যাপল ইকোসিস্টেম, যেখানে গ্রাহককে যুক্ত করার মূল বাহন আইফোন। রোমাঞ্চকর সব প্রযুক্তির মাধ্যমে আইফোন এই কাজটি করে থাকে। কেবল একটা মোবাইলের প্রয়োজন থেকে অ্যাপলের ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করার পরে সহসা এখান থেকে আর কেউ বের হতে পারে না। এই ইকোসিস্টেমে গ্রাহকের প্লাটফর্মের কাজ করে আইফোন, যা দিয়ে মানুষ তার ডিজিটাল চাহিদার প্রায় সবটাই পূর্ণ করতে পারে।  

অ্যাপলের কাছে আইফোন হচ্ছে মূল চালিকাশক্তি, ফলে এই পণ্যটিকে সময়, প্রতিযোগী, এমনকি মানুষের চাহিদার থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রাখতে হয়েছে। মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্টটি খুবই দক্ষতার সঙ্গে সে কাজটি করে যাচ্ছে। দুর্দান্ত হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যারের দারুণ মিশ্রণের ফল আইফোন। মানুষের মৌলিক কোনো চাহিদা না হয়েও একটা আইফোন বর্তমান বিশ্বের এমন এক পণ্য যার বাৎসরিক আয় বহু-দেশের জিডিপির থেকেও বেশি। 

আইফোনের এতটা জনপ্রিয়তার পেছনের কিছু মুখ্য কারণ নিয়েই আজকের আলোচনা।

ইনোভেশন

ফোনে প্রথমবারের মতো টাচস্ক্রিণ সুবিধা আইফোন না দিলেও গ্রাহকের কাছে সহজভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি মাল্টি-টাচ ইন্টারফেস, প্রথম কোনো কার্যকর মোবাইল ওয়েব ব্রাউজার, ইন্টিগ্রেটেড আইপড মিউজিক প্লেয়ার, মোবাইল ইউটিউব অ্যাপসহ দুর্দান্ত ও অভিনব ফিচারের সমন্বিত প্রথম একটা ফোন হিসেবেই বাজারে প্রবেশ করে। যার ধারা আজও বহাল রেখেছে আইফোন। 

অ্যাপল যদিও টাচস্ক্রিন আবিষ্কার করেনি, তবে হাতের স্পর্শের মাধ্যমে ফোন নিয়ন্ত্রণ করার ইন্টারফেসটি ইনোভেট করেছে। আর এই ইনোভেশন আবিষ্কারের চাইতেও যুগান্তকারী ছিল। ২০০৭ সালে আইফোন অরিজিনালের মোড়ক উন্মোচন-কালে জবস ৩টা বৈপ্লবিক প্রযুক্তির সমন্বিত একটা ডিভাইস নিয়ে আসেন। তৎকালীন ফোন থেকে প্রথম আইফোনটিকে ৫ বছর এগিয়ে রেখেছিলেন জবস। সেই থেকে শুরু করে আদ্য-বদি আইফোন একের পর এক অভিনব প্রযুক্তি নিয়ে বাজারে এসেছে, যা পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির একেকটা আধেয় হয়েছে। 

আইফোন প্রতিবছর নিজেদের প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি পূর্বের ভার্সনগুলোর ত্রুটির সমাধান নিয়ে আসে। মিউজিক, ভিডিও, ফ্রন্ট ক্যামেরা, ইন্টারনেট থেকে শুরু করে সবশেষ আইফোন ১৪ সিরিজে ডায়নামিক আইল্যান্ড, অলওয়েজ অন ডিসপ্লে সুবিধা, স্মার্টফোনের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগতির এ১৬ বায়োনিক চিপ, নজিরহীন সুরক্ষা ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট সংযোগ অ্যাপলের শক্তিশালী ইনোভেশনের প্রমাণ। আসন্ন ১৫ সিরিজেও চমকে দেওয়া নতুনত্ব নিয়ে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 
 
অ্যাপ স্টোর

আইফোনের তুমুল জনপ্রিয়তার পেছনে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আইফোনের অ্যাপ স্টোর। ডিভাইসের সঙ্গে সফ্টওয়্যারকে একীভূত করা প্রথম স্মার্টফোন না হলেও আইফোন এই প্রযুক্তিকে এমনভাবে বদলে দিয়েছে যা অ্যাপস্টোরের ধারনা বদলে দেয়।

আইফোন তার ব্যবহারকারীকে একটি প্লাটফর্ম থেকে দরকারি অ্যাপগুলো খুঁজে ইনস্টল করার একটি দ্রুত এবং সহজ উপায় প্রদান করেছে। বর্তমানে আই স্টোরে ২ মিলিয়নের বেশি অ্যাপ আছে। এই অ্যাপ স্টোর আইফোনকে বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবার সুযোগ করে দিয়েছে, পাশাপাশি অ্যাপলকে এনে দিয়েছে বিশাল অংকের মুনাফা। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপ থেকেই প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। যার মধ্যে সাবস্ক্রিপশন বাবদ আয় হয়েছিল ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। 

অ্যাপল ইকোসিস্টেম
 
প্রকৃতিতে ইকোসিস্টেমকে 'আন্তর্ক্রিয়াশীল জীবের একটি জৈবিক সম্প্রদায়' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। প্রযুক্তির পরিভাষায়, ইকোসিস্টেম বলতে ডিভাইস এবং সফটওয়্যারগুলোর একটি সমন্বিত দলকে বোঝায় যা একটি একক সহযোগী নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিত্ব করে। আইফোনের ধারাবাহিক এই তুমুল জনপ্রিয়তার পেছনে অ্যাপলের ইকোসিস্টেমের অবদান সবচেয়ে বেশি।

অ্যাপল ইকোসিস্টেমক সচল রেখে অনবরত আপগ্রেডিংয়ের কাজটি করে থাকে অ্যাপলের শক্তিশালী গবেষণা ও ডেভেলপার দল। কেউ একটি অ্যাপল ডিভাইসে একটি কাজ শুরু করতে পারে এবং অন্যটিতে এটি চালিয়ে যেতে পারে এবং কিছু ডাউনলোড বা ইন্সটল করার কোনো প্রয়োজন নেই। হাতের আইফোন দিয়ে চাইলেই ম্যাক ল্যাপটপ আনলক করা যায়। অ্যাপল গেজেটগুলো খুবই দ্রুত এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি আরেকটির সঙ্গে কানেক্ট হয়। 

এ ছাড়া যার কাছে আইফোন ও ম্যাক আছে তার জন্য ফোন ছাড়াই ল্যাপটপ দিয়ে কল কিংবা বার্তা পাঠানো যায়। আইফোনে পাওয়া আই-ক্লাউড, এয়ারপ্লে এবং এয়ারড্রপের মতো সেবা অন্য কোনোভাবে পাওয়া যাবে না। স্মার্টফোনের জন্য যেসব ফিচার দরকার তার প্রায় অধিকাংশ অ্যাপল সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে, আইফোনের ইকোসিস্টেম পিক্সেল বা অন্য কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের থেকে অনেক বেশি প্রিমিয়াম মানের।  

অ্যাপল সদরদপ্তর, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: উইকিপিডিয়া

সুরক্ষা ব্যবস্থা

মার্কেটপ্লেসে থাকা সবগুলো অ্যাপ খুব নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করার পরই কেবল আইফোনের অ্যাপস্টোরে স্থান মেলে প্রতিটা অ্যাপের। আইফোনের অ্যাপ স্টোরে তাই অ্যাপের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তাটা অন্যদের থেকে অনেক বেশি নিশ্চিত করতে পারে। অ্যাপলের যেহেতু নিজস্ব ইকোসিস্টেম, তাই ডিভাইসের ওপর প্রস্ততকারকের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে, যা আইফোনকে অনেক সুরক্ষিত রাখে।

অ্যাপল তাদের সোর্স কোড রক্ষা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে। আর এই ক্লোজড সোর্স কোডের কারণে হ্যাকারদের জন্য নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। বিশ্বের প্রায় ২ শতাধিক উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে অ্যাপল, যা সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণের কাজটা নিজেরাই করে। অ্যাপলের এমন গোপন নির্মাণশৈলীর ফলে তাদের অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকারদের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ থাকে।  
আবার ম্যালওয়্যার আক্রমণের ক্ষেত্রে আইওএসের কাছে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। অন্যদিকে, তথ্যের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রেও অ্যাপল অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অ্যাপলের আই মেসেজ, ফেসটাইম এবং আই-ক্লাউডে তথ্যের আদান-প্রদান তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। 
 
মার্কেটিং ও ব্রান্ডিং

বর্তমান বিশ্বে পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি অতি জরুরি হচ্ছে ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং। যা কীভাবে করতে হয় তা আইফোন খুব ভালোভাবেই জানে। এ ক্ষেত্রেও যে আইফোনের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সেরা, তা হয়তো অনেকের কাছেই অজানা। ফোর্বসের ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বে টানা দশমবারের মতো 'সিএমও সার্ভে এওয়ার্ড ফর মার্কেটিং এক্সিলেন্সি' বিজেতা। 

আইফোনের সবচেয়ে বড় ব্রান্ডিং অ্যাপল লোগো। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে এই লোগো অতি পরিচিত, লোগো দেখা মাত্র চোখের পলকেই মনের মধ্যে অ্যাপল-প্রীতি চলে আসে। অ্যাপলের প্রথম লোগোটি এমন ছিল না, ১৯৭৬ নির্মিত লোগোটির ডিজাইনার ছিল রব জ্যানফ। বর্তমান লোগোটির ডিজাইনার রোনাল্ড ওয়েন, যা আইজ্যাক নিউটনের একটি আপেল গাছের নিচে বসা থাকার সেই বৈপ্লবিক বিষয়টাকে চিত্রিত করেছে। 

এই লোগো বিস্ময় এবং সৃজনশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে, অ্যাপলের ইনোভেশনকে প্রতিনিধিত্ব করে। ডিজাইনারের ভাষ্যে, 'নিউটন... চিরকালের জন্য যে মন চিন্তার অদ্ভুত সমুদ্রের মধ্যে ভ্রমণরত'। বর্তমান লোগোটির ব্যবহার শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে, ঠিক যে বছর আইফোন বাজারে আসে। ব্র্যান্ডের উদ্ভাবনী দিক। 

'থিংক ডিফারেন্ট', অ্যাপলের এই স্লোগান একবিংশ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা স্লোগান, যা আইফোনসহ অ্যাপলের সব পণ্যের ইনোভেশনের পাশাপাশি এর প্রচলিত নিয়মের বাইরের ব্র্যান্ড ইমেজকে প্রতিনিধিত্ব করে। আইফোনের সবচেয়ে মার্কেটিং হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পণ্য লঞ্চিং অনুষ্ঠানগুলোই এর প্রধান। স্টিভ জবস থেকে শুরু হয় মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত একটা প্রেজেন্টেশন দেওয়া। এখন পর্যন্ত আইফোন সেই পথেই হাঁটছে। আর এই কৌশল শতভাগ সফলও বটে। গ্রাহক সেবা প্রদান আইফোনের জন্যে অন্যতম বড় ব্রান্ডিং, যা সফলতার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবেই করে যাচ্ছে।

ডিজাইন ও স্থায়িত্ব

ডিজাইনের দিক থেকে খুব সাদামাটা কিন্তু আকর্ষণীয়। প্রতিটা ভার্সনের আইফোন খুব সরল ডিজাইনেই কয়েকটা রংয়ে বের করা হয়। এই সরলতার মধ্যে যেন এক আভিজাত্যের ছোঁয়া থাকে। খুব বেশি চাকচিক্য নেই। সব বয়সের, সব পেশার, সব পছন্দের মানুষের কথা চিন্তা করেই আইফোন নকশার এই কাজটি করে থাকে। যা প্রতিটা দেশের, প্রতিটা সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে যায়, মানুষের আবেগে স্থান করে নেয়।

স্থায়িত্বের দিক থেকেও আইফোনের সঙ্গে টেক্কা দেওয়াটা খুব কঠিন। বিশ্বের প্রায় ২ শতাধিক সরবারহকারীর কাছ থেকে হাই-এন্ড কাঁচামাল সংগ্রহ করে আইফোন, যা বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানায় একত্রিত করা হলেও এর গুনাগুণ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। আইফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই তৃপ্তিটা তাই অন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের থেকে কিছু বেশিই থাকে। 

 

তথ্যসূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনবিসি, রয়টার্স, ফোর্বস, ভক্স, দা ভার্জ, বিজনেস ইনসাইডার, টাইমস, স্ট্যাটিস্টা, মেক ইউস অফ ও ওয়ার্ড

 

 

Comments