ভ্রমণে বহন উপযোগী ৭ ল্যাপটপ
ল্যাপটপ কেনার সময় ভ্রমণকারীদের নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা থাকে। বিশেষ করে তারা যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভ্রমণ করেন। হতে পারে আপনি ৩ মাসের ট্রিপে বাড়ি ছেড়েছেন কিংবা একজন ডিজিটাল যাযাবর।
আপনি যে ধরনের ভ্রমণকারীই হোন না কেন, আপনার সে ক্ষেত্রে এমন একটি ল্যাপটপ দরকার হবে যেটি পাতলা, চিকন এবং হালকা ওজনের। যাতে করে আপনি খুব সহজেই পরিবহন করতে পারেন।
তবে ব্যাটারি লাইফ, র্যাম এবং স্টোরেজও কিছু পেশাদার ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ভ্রমণকারীদের জন্যে সেরা ৭টি ল্যাপটপ সম্পর্কে।
ম্যাকবুক প্রো এম২
বহনযোগ্যতা এবং পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে এম২ চিপের ম্যাকবুক প্রো, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দুর্দান্ত ল্যাপটপগুলোর মধ্যে একটি। এর ডিসপ্লের আকার ১৩ দশমিক ৩-ইঞ্চি, যা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। মাত্র ৩ পাউন্ড ওজনের এই ল্যাপটপটি আধা ইঞ্চির একটু বেশি পুরু হওয়ায় সহজেই আপনার ব্যাগে জায়গা করে নিতে পারবে।
এই মডেলটিতে ১৬ গিগাবাইট র্যাম এবং ১ টেরাবাইট পর্যাপ্ত স্টোরেজ রয়েছে। কেনার সময় আপনি এগুলো আপনার নিজের প্রয়োজন অনুসারে সামঞ্জস্য করে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, কেনার পরে কিন্তু আপনি এগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন না।
ভ্রমণকারীদের জন্য এই ল্যাপটপটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর অবিশ্বাস্য ব্যাটারি লাইফ। ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত দারুণ ব্যাটারি লাইফের সঙ্গে আপনি চাইলে সৈকতের পাশে বসে আপনার কাজ আরামে চালিয়ে নিতে পারবেন, কষ্ট করে চার্জার বহনের প্রয়োজন ছাড়াই।
ডিসপ্লেতে রয়েছে ৫০০ নিটস পর্যন্ত উজ্জ্বলতার একটি ২৫৬০×১৬০০ রেজোলিউশনের রেটিনা ডিসপ্লে। তবে দুর্ভাগ্যবশত এর ফেসটাইম ক্যামেরাটি ৭২০পি-তেই রয়ে গেছে। যা ম্যাকবুক এয়ার এম২-এর ক্ষেত্রে ১০৮০পি। আরেকটি অপূর্ণতা হলো, এটিতে শুধু দুটি থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট রয়েছে।
মূল বৈশিষ্ট্য
বড় ট্র্যাকপ্যাড, ব্যাকলিট কীবোর্ড, টাচ বার, টাচ আইডি ও ট্রু টোন।
স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: অ্যাপল
- রঙ: স্পেস গ্রে
- স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট
- সিপিইউ: এম২ চিপ
- মেমরি: ১৬ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: ম্যাকওএস
- ব্যাটারি: ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত
- পোর্ট: ২x থান্ডারবোল্ট-৪, ১x ৩ দশমিক ৫ মিমি হেডফোন, মাইক জ্যাক
- ক্যামেরা: ৭২০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি, ২৫৬০×১৬০০
- ওজন: ৩ পাউন্ড
- জিপিইউ: ১০-কোর
- ডাইমেনশন: ৮ দশমিক ৪ x ১২ x শূন্য দশমিক ৬ ইঞ্চি
সুবিধা
- উজ্জ্বল এবং নিখুঁত ডিসপ্লে
- দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স
- চিকন এবং হালকা
- দুর্দান্ত ব্যাটারি
অসুবিধা
- পোর্টের অভাব
- সাধারণ ওয়েবক্যাম
ম্যাকবুক এয়ার এম২
আপনার যদি মনে হয়, ম্যাকবুক প্রো এম২ অনেক বেশি দামি, সে ক্ষেত্রে ম্যাকবুক এয়ার এম২ হতে পারে আপনার জন্যে একটি চমৎকার বিকল্প। যা আপনার বেশ কিছু টাকা বাঁচাবে। শুধু তাই নয় এর স্ক্রিনটিও সামান্য বড়, ওজনও কিছুটা কম এবং এটি আরও বেশি চিকন। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য অ্যাপলের আরেকটি আদর্শ বিকল্প। এখানেও আপনি একটি ৫০০ নিটসের অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং দুর্দান্ত ডিসপ্লে পাবেন। অতএব এটিতে ফটো এডিটিং ম্যাকবুক প্রো-এর সঙ্গে তুলনীয়। তবে প্রো ভারী ভিডিও সম্পাদনার কাজে আরও ভালো পারফর্ম করে। এ ছাড়া আপনি এখানে ওয়েবক্যামে একটি আপগ্রেড পাবেন।
তবে স্টোরেজ স্পেসের ক্ষেত্রে আপনাকে একটু আপস করতে হবে। যদিও ২৫৬গিগাবাইট এখনো অনেকের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু একজন ফটোগ্রাফার বা ডিজাইনারদের মতো পেশাদারদের ক্ষেত্রে সেটি যথেষ্ট নাও হতে পারে। অন্যদিকে এর ব্যাটারি লাইফটাও ম্যাকবুক প্রো এর তুলনায় কিছুটা কম; যদিও ১৮ ঘণ্টা যথেষ্ট বেশি।
মূল বৈশিষ্ট্য
ম্যাগসেফ চার্জার, ১০৮০পি ওয়েবক্যাম, টাচ আইডি, বড় ট্র্যাকপ্যাড, ব্যাকলিট কি-বোর্ড।
স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: অ্যাপল
- রঙ: মিডনাইট
- স্টোরেজ: ২৫৬ গিগাবাইট
- সিপিইউ: এম২ চিপ
- মেমরি: ১৬ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: ম্যাকওএস ১২ মন্টেরি
- ব্যাটারি: ১৮ ঘণ্টা
- পোর্ট: ১x ম্যাগসেফ, ২x থান্ডারবোল্ট ৪, ১x ৩ দশমিক ৫ মিমি হেডফোন/মাইক জ্যাক
- ক্যামেরা: ১০৮০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৩ দশমিক ৬-ইঞ্চি, ২৫৬০x১৬৬৪
- ওজন: ২ দশমিক ৬ পাউন্ড
- জিপিইউ: ৮-কোর
- ডাইমেনশন: ১২ x ৮ দশমিক ৫ x শূন্য দশমিক ৪ ইঞ্চি
সুবিধা
- চমৎকার ব্যাটারি
- চিকন এবং হালকা
- চমৎকার এবং উজ্জ্বল ডিসপ্লে
অসুবিধা
- পোর্টের অভাব
মাইক্রোসফট সারফেস গো ৩
যারা সিপিইউ-এর ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে এরকম অ্যাপ বা গেম ব্যবহার করেন না, তাদের জন্যে রয়েছে এই বাজেট-বান্ধব বিকল্পটি। ভ্রমণকারীদের জন্যে এটি সুবিধাজনক কারণ এটি হালকা ওজনের, ছোট এবং যেকোনো লাগেজে সহজেই ঢুকে যায়।
তবে আপনি এতে শুধুমাত্র ডিভাইসটি পাবেন, এটিকে একটি সম্পূর্ণ ল্যাপটপে পরিণত করতে আপনাকে একটি পৃথক কি-বোর্ড কিনতে হবে। আপনি চাইলে অন্যান্য জিনিসপত্র যেমন, সারফেস পেন এবং মাউসও কিনতে পারেন।
এতে রয়েছে একটি ৮ গিগাবাইটের র্যাম, যা দিয়ে আপনি মুভি স্ট্রিম, ইন্টারনেট ব্রাউজ, বার্তা পাঠানোর মতো অন্যান্য দৈনন্দিন কাজগুলো সহজে করতে পারবেন। এর ১১-ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ দিয়ে একজন ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে পুরো দিন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
তবে এর নেতিবাচক দিক হচ্ছে মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য স্ক্রিনটি বেশ ছোট এবং ভিডিও চালনার সময় ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
মূল বৈশিষ্ট্য
- ১০৮০পি ওয়েবক্যাম
- টাচস্ক্রিন
- ফ্যানলেস ডিজাইন
- স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: মাইক্রোসফট
- রঙ: কালো
- স্টোরেজ: ১২৮ গিগাবাইট এসএসডি
- সিপিইউ: ইন্টেল পেন্টিয়াম গোল্ড ৬৫০০ওয়াই
- মেমরি: ৮ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১১ হোম এস মোড
- ব্যাটারি: ১১ ঘণ্টা
- পোর্ট: ১x ইউএসবি-সি, ১x ৩ দশমিক ৫ মিমি, হেডফোন/মাইক জ্যাক, ১x সারফেস কানেক্ট পোর্ট, ১x সারফেস টাইপ কভার পোর্ট, ১x মাইক্রোএসডিএক্সসি কার্ড রিডার
- ক্যামেরা: ১০৮০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১০ দশমিক ৫-ইঞ্চি, ১৯২০×১২৮০
- ওজন: ১ দশমিক ২ পাউন্ড
- জিপিইউ: ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স ৬১৫
- ডাইমেনশন: ৮ x ১০ দশমিক ৮ x ১ দশমিক ৯ ইঞ্চি
- মডেল: ১৯০১
সুবিধা
কমপ্যাক্ট এবং হালকা
উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত ডিসপ্লে
চমৎকার বিল্ড কোয়ালিটি
অসুবিধা
ভিডিও দেখার সময় ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়
বেশি কাজের চাপে ভাল কাজ করে না
মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৯ (৫জি)
মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৯-এ রয়েছে ৫জি সংযোগ এবং মাইক্রোসফট এসকিউ৩ চিপ। এই চিপটির কারণে শক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে আরও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। যার কারণে আরও বেশি ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যায়। তবে, ভারী অ্যাপগুলো স্বাচ্ছন্দে চালানোর ক্ষেত্রে এটি একটু পিছিয়ে।
ভিডিও কনফারেন্সিং, অনলাইন সেমিনার, জুম মিটিং, অনলাইন ক্লাস কিংবা ওয়েবিনারের জন্যে এই ল্যাপটপটির দুর্দান্ত কিছু ফিচার রয়েছে। গেজ কারেকশন নামে এর একটি ফিচার রয়েছে, যা আপনার চোখ সর্বদা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছে এরকম দেখাবে। এ ছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডের শব্দ দূর করা এবং সেন্ট্রাল ফ্রেমিং-সহ বেশ কিছু দুর্দান্ত ফিচারও এতে রয়েছে।
মূল বৈশিষ্ট্য
- ফেস আইডি
- ডুয়েল ফার-ফিল্ড মাইক্রোফোন
- চমৎকার ওয়েবক্যাম
- ৫-জি সংযোগ
- ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: মাইক্রোসফট
- রঙ: প্লাটিনাম
- স্টোরেজ: ৫১২ জিবি
- সিপিইউ: মাইক্রোসফট এসকিউ৩
- মেমরি: ১৬ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১১ হোম
- ব্যাটারি: ১৯ ঘন্টা পর্যন্ত
- পোর্ট: ২x ইউএসবি-সি, ১x ন্যানো সিম, ১x সারফেস কানেক্ট, ১x সারফেস কীবোর্ড পোর্ট
- ক্যামেরা: ১০৮০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৩-ইঞ্চি, ২৮৮০×১৯২০
- ওজন: ১ দশমিক ৯৫ পাউন্ড
- জিপিইউ: এড্রিনো ৮সিএক্স জেনারেশন ৩
- ডাইমেনশন: ১১ দশমিক ৩ x ৮ দশমিক ২ × শূন্য দশমিক ৩৭ ইঞ্চি
- স্পিকার: ২ডাব্লিউ স্টেরিও স্পিকার
- মডেল: আরওয়াইআই-০০০০১
সুবিধা
- মজবুত এবং হালকা ডিজাইন
- ভালো অডিও
- প্রাণবন্ত ডিসপ্লে
অসুবিধা
- হেডফোন জ্যাক নেই
- ব্যয়বহুল, কীবোর্ড এবং স্টাইলাস আলাদাভাবে বিক্রি হয়
ডেল এক্সপিএস ১৩ ২-ইন-১ ৯৩১০
ডেল এক্সপিএস ১৩ ২-ইন-১ ৯৩১০ এর আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে হালকা এবং ১১তম প্রজন্মের টাইগার লেক প্রসেসরযুক্ত। এই প্রসেসরটির মাধ্যমে গেমাররা একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স পেতে পারেন এবং নির্বিঘ্নেই অনেক ভারী কাজ করতে পারবেন। এই মডেলের দুটি সংস্করণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ ডিজাইনের। অন্যটি ৩৬০-ডিগ্রি কব্জাযুক্ত, যাতে করে আপনি এটি ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ ২ ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
এর ১৩ দশমিক ৪-ইঞ্চি স্ক্রিনটি ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ উপযুক্ত একটি আকার। একইসঙ্গে এর নকশা এবং ওজনের কারণে, আপনি ভ্রমণের সময় এটিকে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে আপনার ব্যাগে বহন করতে পারবেন।
ভ্রমণকারীদের জন্য সাধারণত একটি মানসম্পন্ন ওয়েবক্যাম প্রয়োজন হয়। এদিক দিয়ে এটি শুধুমাত্র ৭২০পি অফার করে৷ তবে এর ব্যাটারি লাইফ ভালো এবং ডেল দাবি করে যে আপনি হালকা কাজে এটি ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া, কেনার পূর্বে এর কি-বোর্ডটি সম্পর্কে ভালোমতো বিবেচনা করা নিতে হবে। কারণ অনেকের জন্যে সেটি আরামদায়ক না।
মূল বৈশিষ্ট্য
- ৩৬০-ডিগ্রি ঘোরানোর ক্ষমতা
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার
- টাচস্ক্রিন
- বড় টাচপ্যাড
স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: ডেল
- রঙ: প্ল্যাটিনাম সিলভার
- স্টোরেজ: ৫১২ গিগাবাইট
- সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭-১১৬৫জি৭
- মেমরি: ৩২ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ হোম
- ব্যাটারি: ১৪ ঘণ্টা
- পোর্ট: ২x ইউএসবি-সি, ১x মাইক্রোএসডি স্লট, ১x ৩ দশমিক ৫ মিমি হেডফোন, মাইক জ্যাকক্যামেরা: ৭২০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৩ দশমিক ৪ ইঞ্চি, ১৯২০×১২০০
- ওজন: ২ দশমিক ৯ পাউন্ড
- জিপিইউ: ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্স
- ডাইমেনশন: ৮ দশমিক ১৫ x ১১ দশমিক ৭ x শূন্য দশমিক ৫৬ ইঞ্চি
- স্পিকার: ২x ২ডাব্লিউ
- মডেল: এক্সপিএস৯৩১০-৭১০৮এসএলভি-পিইউএস
সুবিধা
- ১৬:১০ আকৃতির অনুপাত
- উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত ডিসপ্লে
- ভালো অডিও
অসুবিধা
- অস্বস্তিকর কি-বোর্ড
- পোর্টের অভাব
লিনোভো ইয়োগা ৯আই
পাতলা, হালকা এবং কমপ্যাক্ট নকশার লিনোভো ইয়োগা ৯আই হতে পারে ভ্রমণকারীদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ। ৩৬০-ডিগ্রি কব্জাযুক্ত ২-ইন-১ এর এই ল্যাপটপটিকে আপনি ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ ২ ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। এর কী-বোর্ডটিও বেশ আরামদায়ক। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে পাবেন একটি স্টাইলাস কলম। এ ছাড়া এতে রয়েছে আকর্ষণীয় ডলবি অ্যাটমোস সাউন্ডবার, যেটি আপনি চাইলে ঘোরাতে পারবেন।
২ টেরাবাইটের বিশাল স্টোরেজে আপনি আপনার পুরো ট্রিপের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বিনোদন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এর ব্যাটারি লাইফও বেশ ভালো। সাধারণ কাজ এবং ভিডিও চালালে আপনি ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। তবে যারা বেশি ভারী অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের অন্য শক্তিশালী বিকল্প খুঁজতে হবে।
মূল বৈশিষ্ট্য
- ৩৬০-ডিগ্রি কব্জা
- ফিঙ্গাপ্রিন্ট রিডার
- সাউন্ডবার ঘোরানো যায়
- টাচস্ক্রিন এবং স্টাইলাস
স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: লেনোভো
- রঙ: মাইকা
- স্টোরেজ: ৫১২ গিগাবাইট
- সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭ ১১ জেনারেশন আই৭-১১৯৫জি৭
- মেমরি: ১৬ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১১ হোম
- ব্যাটারি: ১৬ ঘণ্টা
- পোর্ট: ২x থান্ডারবোল্ট ৪, ১x ইউএসবি-এ, ১x৩ দশমিক ৫ মিমি হেডফোন, মাইক জ্যাক
- ক্যামেরা: ৭২০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৪-ইঞ্চি, ৩৮৪০x২১৬০
- ওজন: ৩ পাউন্ড
- জিপিইউ: ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্স
- ডাইমেনশন: ৮ দশমিক ৫ x ১২ দশমিক ৬ x শূন্য দশমিক ৬ ইঞ্চি
- মডেল: লিনোভো ইয়োগা ৯আই
সুবিধা
- চমৎকার ব্যাটারি লাইফ
- চিকন এবং হালকা
- মজবুত বিল্ড
- আরামদায়ক কি-বোর্ড
অসুবিধা
- স্ক্রিনে আলো প্রতিফলনের সমস্যা
- ১৬:৯ আকৃতির অনুপাত
আসুস জেনবুক ১৪এক্স ল্যাপটপ
আপনি যদি একটি জমকালো ডিসপ্লের কোনো ট্রাভেল ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন, তাহলে আসুস জেনবুক ১৪এক্স হতে পারে আপনার পছন্দের। এই ল্যাপটপটিতে ৯০হার্জ রিফ্রেশ রেটসহ একটি দুর্দান্ত ২৫-ইঞ্চির, ২ দশমিক ৮কে ওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে। যা ৫৫০ নিটস পর্যন্ত উজ্জ্বলতা দিতে সক্ষম। এটি সিনেমা দেখার এবং ভ্রমণের সময় ছবি এবং ভিডিও সম্পাদনা করার জন্য একটি চমৎকার ল্যাপটপ।
এটি একটি শক্তিশালী এবং হালকা ল্যাপটপ যেটি নিয়ে আপনি সহজেই চলাফেরা করতে পারবেন। এটিতে আপনি স্ট্রিমিং, সার্ফিং এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেখানে গেমারদের জন্যেও এটি একটি মোটামটি ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। তবে এর ব্যাটারি লাইফ কম। কাজেই দীর্ঘসময় কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে চার্জার নিয়ে কোনো সকেটের পাশে থাকতে হতে পারে।
এই ল্যাপটপের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর স্ক্রিনপ্যাডটি। যা বেশিরভাগ ট্র্যাকপ্যাডের চেয়ে বড় এবং একটি সেকেন্ডারি স্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে। মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে। তবে এর ওয়েবক্যামটি খুবই সাধারণ ৭২০পি এর।
মূল বৈশিষ্ট্য
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
- ১০৮০পি এর স্ক্রিনপ্যাড
- শক্ত অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো
- ইনফিনিট কনট্রাস্ট রেঞ্জ
- স্পেসিফিকেশন
- ব্র্যান্ড: আসুস
- রঙ: পাইন গ্রে
- স্টোরেজ: ৫১২ গিগাবাইট এসএসডি
- সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭-১২৬০পি
- মেমরি: ১৬ গিগাবাইট
- অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১১ হোম
- ব্যাটারি: ৮ ঘণ্টা
- পোর্ট: ১x ইউএসবি-এ, ২x থান্ডারবোল্ট ৪, ১x এইচডিএমআই ২ দশমিক ১, ১x ৩ দশমিক ৫ মিমি হেডফোন, মাইক জ্যাক, ১x মাইক্রোএসডি কার্ড
- ক্যামেরা: ৭২০পি
- ডিসপ্লে (আকার, রেজোলিউশন): ১৪-ইঞ্চি, ২৮৮০ × ১৮০০
- ওজন: ৩ পাউন্ড
- জিপিইউ: এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স৫৫০
- ডাইমেনশন: ১২ দশমিক ২ x ৮ দশমিক ৭ x শূন্য দশমিক ৭ ইঞ্চি
- স্পিকার: নির্দিষ্ট করা নেই
- মডেল: ইউএক্স৫৪০০জেডবি-ডিবি৭৪টি
সুবিধা
- দুর্দান্ত ডিসপ্লে
- সহজে মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষমতা
- পাতলা বেজেল
- ভালো সংখ্যক পোর্ট
অসুবিধা
- সাধারণ ওয়েবক্যাম
- ব্যাটারি লাইফ তুলনামূলকভাবে কম
তথ্যসূত্র: এমইউও
গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি
Comments