ফোর-কে ভিডিও শুটের জন্য কিনতে পারেন যে ৭ ক্যামেরা

আপনার যদি বাজেট নিয়ে চিন্তা না থাকে, তাহলে ভালো মানের ভিডিওর জন্য ফোর-কে রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা কিনতে পারেন
ফোর-কে ভিডিও শুটের জন্য কিনতে পারেন যে ৭ ক্যামেরা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বেশিরভাগ টেলিভিশন ও কম্পিউটার মনিটরসহ বিভিন্ন স্ক্রিন ফোর-কে ভিডিও সাপোর্ট করে। তাই এগুলোর সঙ্গে মানানসই ভিডিও তৈরির জন্য, একজন পেশাদার ভিডিওগ্রাফারের প্রয়োজন একটি ফোর-কে ক্যামেরার। 

ফোর-কে ভিডিওর রেজ্যুলেশন ১০৮০পি বা হাই-ডেফিনিশন (এইচডি) ভিডিওর তুলনায় ৪ গুণ বেশি। যেহেতু এতে ফুল এইচডির চেয়ে ৪ গুণ বেশি পিক্সেল রয়েছে, তাই এর ডিটেইলস অনেক বেশি তীক্ষ্ণ এবং ছবিগুলো অত্যন্ত প্রাণবন্ত। তাই জুম ইন কিংবা ক্রপ করার সময়ও এগুলোর উচ্চ-মান বজায় থাকে। 

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ফোর-কে ভিডিওর জন্য সেরা ৭টি ক্যামেরা সম্পর্কে।

ক্যানন ইওএস আর৫

আপনার যদি বাজেট নিয়ে চিন্তা না থাকে, তাহলে ক্যানন ইওএস আর৫-এর দিকে যেতে পারেন। এটি একটি ৪৫ মেগাপিক্সেলের ফুল-ফ্রেম সিএমওএস সেন্সরযুক্ত প্রিমিয়াম মিরোরলেস ক্যামেরা। আপনি চাইলে এতে এইট-কে রেজ্যুলেশনেও ভিডিওধারণ করতে পারবেন। যদিও এইট-কে-তে শুটিংয়ের ফলে ক্যামেরা দ্রুত গরম হতে পারে। তবে ৩০ এফপিএস-এ ফোর-কে-তে শুটিং করলে কোনো সমস্যাই হয় না। 

এ ছাড়া এতে রয়েছে ডুয়াল-পিক্সেল সিএমওএস এএফ ২ অটোফোকাস প্রযুক্তি। এর সাবজেক্ট ট্র্যাকিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ, প্রাণী এবং যানবহনের ওপর ফোকাস করতে সক্ষম। 

অন্যদিকে, ৫-এক্সিস আইবিআইএস এর কারণে আপনি গিম্বল ছাড়াই নিশ্চিন্তে হাতে নিয়ে শুট করতে পারবেন। এ ছাড়া, আপনি চাইলে ফ্রেম গ্র্যাব ফিচারের মাধ্যমে ভিডিও থেকে উচ্চমানের স্থির ছবি বের করে নিতে পারবেন।

মূল বৈশিষ্ট্য

  • সিএফএক্সপ্রেস এবং এসডি কার্ড স্লট
  • ৮-স্টপ পর্যন্ত ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার 
  • ২০ এফপিএস ইলেকট্রনিক শাটার
  • টাচস্ক্রিন
  • এসআরজিবি এবং অ্যাডোবি আরজিবি কালার স্পেস

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: ৩৬×২৪ মিমি সিএমওএস
  • ভিডিও রেজোলিউশন: ৩০ এফপিএস-এ এইট-কে এবং ১২০ এফপিএস-এ ফোর-কে
  • ছবির রেজ্যুলেশন: ৪৫ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: ৪৯০ সিআইপিএ 
  • আকার: ৫ দশমিক ৪x৩ দশমিক ৮x৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি
  • ওজন: ৭৩৭ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী 
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য 

সুবিধা

  • আইএসও ১০০ থেকে ৫১ হাজার ২০০
  • ৫৯৪০ অটোফোকাস পজিশনস 
  • যেকোনো আবহাওয়ার জন্য মানানসই 
  • টেকসইভাবে তৈরি

অসুবিধা

  • অত্যন্ত ব্যয়বহুল
  • এইট-কে ভিডিও শুটিংয়ের সময় ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়  

ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন পকেট সিনেমা ফোর-কে ক্যামেরা

চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ভিডিওগ্রাফার যারা একটি কমপ্যাক্ট এবং সহজে বহনযোগ্য ক্যামেরা খুঁজছেন তাদের জন্য রয়েছে ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন পকেট সিনেমা ফোর-কে। এটি একটি পেশাদার মানের ক্যামেরা। যা বিশেষভাবে ভিডিওর জন্য নকশা করা হয়েছে। তবে আপনি চাইলে এর স্টিল ক্যাপচার ফিচারটি দিয়ে ভিডিও থেকে চমৎকার স্থিরছবিও বাছাই করে নিতে পারবেন। 

ব্ল্যাকম্যাজিকের দাবি, ক্যামেরাটি 'হলিউড মানের ডিজিটাল ফিল্ম ইমেজ' প্রদানে সক্ষম। এতে রয়েছে পূর্ণ আকারের মাইক্রো ফোর থার্ডস সেন্সর। পাশাপাশি এতে রয়েছে ১৩-স্টপ ডায়নামিক রেঞ্জ এবং ডুয়াল-নেটিভ আইএসও। 

এর বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ভ্লগারদের জন্যও উপযুক্ত। শুধু তাই নয়, ক্যামেরাটিতে একটি ফ্ল্যাগশিপ মেনু সিস্টেম রয়েছে। যা এতটাই ব্যবহার বান্ধব যে, যারা টেকনোলজি ভয় পান তারাও কোনো চিন্তা ছাড়াই এটি পরিচালনা করতে পারবেন। 

মূল বৈশিষ্ট্য

  • ৪১০ এমবিপিএস বিটরেট
  • স্টিল ক্যাপচার ফিচার
  • নেটিভ ফোর-কে রেজ্যুলেশন
  • ১৩-স্টপ ডাইনামিক রেঞ্জ
  • ডুয়াল-নেটিভ আইএসও

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: ১৮ দশমিক ৯৬ মিমি x ১০ মিমি (চার তৃতীয়াংশ)
  • ভিডিও রেজ্যুলেশন: ৬০ এপপিএস-এ ফোর-কে, ১২০ এফপিএস-এ ১০৮০পি
  • ছবির রেজ্যুলেশন: ৮ দশমিক ৮ মেগাপিক্সেল (ভিডিও থেকে নেওয়া)
  • ব্যাটারি: প্রায় ৬০ মিনিট
  • আকার: ৭x৩ দশমিক ৪x৩ দশমিক ৮ ইঞ্চি
  • ওজন: ৬৯৪ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী নয়
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য

সুবিধা

  • সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ভালো মানের বিস্তৃত পরিসরের লেন্স লাগানো যায় 
  • অনেক ধরনের পোর্ট 
  • দ্যভিঞ্চি রিজলভ ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যারে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস
  • হালকা কার্বন ফাইবার বডি

অসুবিধা

  •  অটোফোকাস এবং আইবিআইএস নেই

গো-প্রো হিরো ১১

গোপ্রো হিরো ১১ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভালো অ্যাকশন ক্যামেরা। এর হাইপার স্মুথ ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার একে একটি এমি অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত এনে দিতে পেরেছে। আর এর ৫.০ হাইপারলক ৩৬০-ডিগ্রিতে ঘোরার সময়ও ভিডিওকে স্থির রাখতে পারে। যদি এটিও যথেষ্ট না হয়, তাহলে অটোবুস্ট ফিচার নিশ্চিত করে যে নড়বড়ে রেকর্ডিং যেন না হয়। সব মিলিয়ে এতে নড়বড়ে রেকর্ডিং করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটিক ইফেক্টের জন্য আপনি চাইলে এর নতুন সেন্সরের ৮:৭ অনুপাতকে ১৬:৯-এও রূপান্তর করতে পারবেন।

এর এন্ডুরো ব্যাটারি অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায়ও চমৎকার কর্মক্ষমতা প্রদান করে। উদীয়মান অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফারদের জন্যও এতে রয়েছে অনেকগুলো টাইম-ল্যাপস মোড। আপনি এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভ স্ট্রিমিংও করতে পারবেন। 

মূল বৈশিষ্ট্য

  • হাইপার স্মুথ ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার
  • হাইপারলক ৫ দশমিক শূন্য হরাইজন লক
  • এন্ডুরো ব্যাটারি
  • পেছনের টাচস্ক্রিন এবং সামনের দিকের ডিসপ্লে
  • ভয়েস কমান্ড সাপোর্ট

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: ১/১ দশমিক ৯ ইঞ্চি
  • ভিডিও রেজ্যুলেশন: ৬০ এফপিএস-এ ৫.৩ কে, ১২০ এফপিএস-এ ফোর-কে, ২৪০ এফপিএস-এ ২.৭ কে
  • ছবির রেজ্যুলেশন: ২৭ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: সর্বনিম্ন রেজ্যুলেশনে ১৩৭ মিনিট
  • আকার: ২ দশমিক ৬x১ দশমিক ৩x১ দশমিক ৮৫ ইঞ্চি
  • ওজন: ৪৫৩ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী ক্ষমতা: ৩৩ ফুট পর্যন্ত
  • লেন্স: ১২ মিলিমিটার

সুবিধা

• ফোর-কে এবং ২.৭-কে-তে চমৎকার স্লো-মোশন ক্যাপচার
• ১০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত পানিরোধী
• স্থিরচিত্র নিতে পারে অথবা ভিডিও থেকে ২৭ মেগাপিক্সেল মানের স্থিরচিত্র বাছাই করা যায়
• শক্ত এবং টেকসই
• হালকা, কমপ্যাক্ট এবং ভ্রমণের জন্য উপযোগী

অসুবিধা

  • ৫.৩-কে-তে ক্যামেরা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়

সনি এ৭ আইভি

সনি এ৭ বা আলফা ৭ আইভি উচ্চ পারফরম্যান্সের একটি ফুল-ফ্রেম মিরোরলেস ক্যামেরা। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ৩৩ মেগাপিক্সেল বিএসআই-সিএমওএস সেন্সর এবং একটি শক্তিশালী বায়োনজেড এক্সআর প্রসেসর। এর ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সিস্টেমটিও উচ্চ মানের। এর মাধ্যমে আপনি কম আলোতেও ডিটেইলড ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।

এর এস-সিনেটোন কালার প্রোফাইলটি আপনার ফুটেজে প্রাকৃতিক এবং সিনেমাটিক রঙ সরবরাহ করে। দ্রুতগতির কোনো সাবজেক্টকেও এটি চমৎকারভাবে ক্যাপচার করতে সক্ষম। 

মূল বৈশিষ্ট্য 

  • ৩৩ মেগাপিক্সেল ফুল-ফ্রেম এক্সমোর আর ব্যাক-ইলুমিনেটেড সিএমওএস সেন্সর
  • পরবর্তী প্রজন্মের বায়োনজেড এক্সআর ইমেজ প্রসেসিং ইঞ্জিন
  • এস-সিনেটোন কালার প্রোফাইল
  • ৫ দশমিক ৫ইভি স্টেডিশট আইবিআইএস

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: ফুল ফ্রেম (৩৫ দশমিক ৯×২৩ দশমিক ৯ মিমি)
  • ভিডিও রেজ্যুলেশন: ফোর-কে
  • ছবির রেজ্যুলেশন: ৩৩ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: ৫৮০ সিআইপিএ
  • আকার: ৯ দশমিক ৬x৬ দশমিক ৫x৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি
  • ওজন: ৬৩৫ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী 
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য

সুবিধা 

  • ব্যবহার করা সহজ
  • উচ্চশ্রেণির অটোফোকাস ক্ষমতা

অসুবিধা

  • অত্যন্ত ব্যয়বহুল
  • স্থিরচিত্রের ক্ষেত্রে শুটিংয়ের গতি ধীর

অলিম্পাস ওএম-ডি ই-এম১০ মার্ক ফোর

ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির জগতে এন্ট্রি-লেভেলর জন্য চমৎকার একটি ডিভাইস অলিম্পাস ওএম-ডি ই-এম১০ মার্ক ফোর। এটি এসএলআর-শৈলীর একটি ২০ মেগাপিক্সেলের লাইভ সিএমওএস সেন্সরের মিরোরলেস ক্যামেরা। যা হালকা এবং কমপ্যাক্ট হওয়ার কারণে ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত। আর এর দামও অন্যান্যগুলোর থেকে তুলনামূলক কম। 

এটি ৩০ এফপিএস-এ ফোর-কে-তে শুট করতে পারে। যা নবীশ ভিডিওগ্রাফারদের জন্য যথেষ্ঠ। এ ছাড়া আপনি ৬০ এফপিএস-এ ফুল এইচডি-তেও শুটিং করতে পারবেন। তবে ফোকাসের ক্ষেত্রে এর ট্র্যাকিং একটু ধীরগতির। তাই কখনো কখনো দ্রুতগতির সাবজেক্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এর কষ্ট হয়।

এটি থেকে সহজেই আপনি আপনার স্মার্টফোনে ভিডিও স্থানান্তর করতে পারবেন। দিও এই ক্যামেরাটিতে কোনো এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন পোর্ট নেই, তবে এটিতে একটি উচ্চ-মানের ইন্টারনাল স্টেরিও মাইক রয়েছে। 

মূল বৈশিষ্ট্য

  • কনট্রাস্ট শনাক্তকরণের সুবিধাসহ ১২১-পয়েন্ট অটোফোকাস সিস্টেম
  • ফ্লিপ-ডাউন টাচস্ক্রিন
  • ৫-অ্যাক্সিস ইন-বডি স্টেবলাইজেশন
  • ২০ মেগাপিক্সেলের ফোর থার্ডস লাইভ এমওএস সেন্সর

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: মাইক্রো ফোর থার্ডস (১৭ দশমিক ৪x১৩ মিমি)
  • ভিডিও রেজোলিউশন: ফোর-কে
  • ছবির রেজোলিউশন: ২০ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: ৩৬০ সিআইপিএ 
  • আকার: ৪ দশমিক ৮x৩ দশমিক ৩x১ দশমিক ৯ ইঞ্চি
  • ওজন: ৩৪১ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী নয়
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য

সুবিধা 

  • অনেক হালকা এবং বহনযোগ্যতা ভালো
  • নতুনদের জন্য দারুণ
  • দামে সাশ্রয়ী
  • স্মার্টফোনে ভিডিও স্থানান্তর সহজ

অসুবিধা

  • অটোফোকাস ট্র্যাকিং মোটামটি মানের

প্যানাসনিক লুমিক্স এস৫ আইআই এক্স 

এই মিরোরলেস ক্যামেরায় রয়েছে পেশাদার ভিডিওগ্রাফারদের জন্য উচ্চ শ্রেণির কিছু ফিচার। এতে রয়েছে, ডিসিআই ফোর-কে, অল-ইন্ট্রা এবং প্রোরেজ রেকর্ডিংয়ের ফিচার। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি দুর্দান্ত মানের ভিডিও শুট করতে পারবেন।

এর ৭৭৯-পয়েন্ট ফেজ হাইব্রিড অটোফোকাস অত্যন্ত দ্রুত এবং বেশ নিখুঁতভাবে কাজ করতে সক্ষম। এ ছাড়া এর ৫-অ্যাক্সিস আইবিআইএস এবং ২-অ্যাক্সিস লেন্স-ভিত্তিক ওআইএস আপনার ভিডিওকে রাখে স্থির। এ ছাড়া ক্যামেরার ঝাঁকুনির স্তর এবং প্রকারের ওপর ভিত্তি করে এর অ্যাক্টিভ আইএস ফিচারটি সয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরার সেটিংস সামঞ্জস্য করতে পারে। অর্থাৎ, এই ক্যামেরায় আপনার ভিডিও সহজে নড়বড়ে হবে না। 

মূল বৈশিষ্ট্য

  • ২৪ মেগাপিক্সেলের বিএসআই সিএমওএস সেন্সর
  • ডুয়াল এসডি ইউএইচএস-২ কার্ড স্লট
  • ফ্লিপ-আউট স্ক্রিন
  • ১০০ এবং ৫১ হাজার ২০০-এ ডুয়াল নেটিভ আইএসও সেনসিটিভিটি
  • এক্সটার্নাল মাইক সমর্থন করে

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: ৩৫ দশমিক ৬x২৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার (ফুল-ফ্রেম) সিএমওএস
  • ভিডিও রেজোলিউশন: ৩০ এফপিএস-এ ৬কে এবং ৬০ এফপিএস-এ ফোর-কে
  • ছবির রেজোলিউশন: ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: ৩৭০ সিআইপিএ 
  • আকার: ৩ দশমিক ৫৫x৫ দশমিক ৩x৪ ইঞ্চি
  • ওজন: ৭২৫ গ্রাম
  • স্প্ল্যাশ এবং ধুলো প্রতিরোধী
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য

সুবিধা

  • এল-মাউন্ট অ্যালায়েন্স
  • ভালো অটোফোকাস
  • রিয়েল-টাইম স্ট্রিমিং

অসুবিধা

  • অত্যন্ত ব্যয়বহুল

ফুজিফিল্ম এক্স-এস১০

ফুজিফিল্ম এক্স-এস১০ একটি উচ্চ-মানের মিরোরলেস ক্যামেরা। যা খুব সহজেই পরিচালনা করা যায়। তাই নবীশ ভিডিওগ্রাফারদের জন্য এটি খুবই উপযোগী। আপনি এতে ২৪০ এফপিএস-এ ফুল এইচডি-তে দুর্দান্ত স্লো-মোশন ক্যাপচার করতে পারবেন। এর ভিডিওর গুণমান ইটার্না রেকর্ডিং প্রোফাইলের মাধ্যমে উন্নত করা হয়। যা প্রাকৃতিক সিনেমাটিক রঙ তৈরি করতেও সক্ষম।

যদিও এটি খেলাধুলা বা অ্যাকশন ভিডিওগুলোর জন্য সেরা বিকল্প হবে না। তবে এর অটোফোকাস ট্র্যাকিং বেশ দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য। ভিডিও মোডে আপনি এতে চোখ এবং মুখ শনাক্তকরণ করতে পারবেন। আবার একাধিক মানুষ থাকলে আপনি জয়স্টিক ফিচার ব্যবহার করে সহজেই মুখগুলোর মধ্যে ফোকাস পরিবর্তন করতে পারবেন।

এতে আপনি কম আলোতেও ডিটেইলড ভিডিও শুট করতে পারবেন এবং বেশি ঝাঁকুনি হ্রাসের প্রয়োজন হলে এতে আপনি ইলেকট্রনিক আইএস যোগ করতে পারবেন। এটি বেশ হালকা এবং কমপ্যাক্ট হওয়ার কারণে ভ্রমণকারী ভিডিওগ্রাফারদের জন্য এটি উপযুক্ত।

মূল বৈশিষ্ট্য

  • ২০০এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ বিটরেট
  • মাইক্রোফোন ইনপুট জ্যাক
  • ৫-অ্যাক্সিস আইবিআইএস
  • ২৬ মেগাপিক্সেল এপিএস-সি সেন্সর
  • ইটার্না রেকর্ডিং প্রোফাইল

স্পেসিফিকেশন

  • সেন্সরের আকার: এপিএস-সি (২৫ দশমিক ১ x ১৬ দশমিক ৭ মিমি)
  • ভিডিও রেজোলিউশন: ৪কে
  • ছবির রেজোলিউশন: ২৬ মেগাপিক্সেল
  • ব্যাটারি: ৩২৫ সিআইপিএ
  • আকার: ৫ x ৩ দশমিক ৩ x ২ দশমিক ৫ মিমি
  • ওজন: ৪৫৩ গ্রাম
  • পানি প্রতিরোধী নয়
  • লেন্স: পরিবর্তনযোগ্য

সুবিধা 

  • এইচ.২৬৫/এইচইভিসি কম্প্রেশন সমর্থন করে
  • ইন্টারফেস ব্যবহার করা সহজ
  • স্লো মোশন ক্যাপচার বেশ ভালো
  • এর গ্রিপ খুবই আরামদায়ক 

অসুবিধা

  • অ্যাকশন ভিডিওর জন্য উপযুক্ত নয়

 

তথ্যসূত্র: এমইউও
গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

 

Comments