১ লাখ ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পেল বাংলাদেশি ব্লু-টেক স্টার্টআপ সিকুয়া

স্টার্টআপটি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষের প্রথাগত সমস্যাগুলো দূর করে স্থানীয় উৎপাদকদের আরও উপযোগী করে তোলার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য ও জলজ চাষ শিল্পে পরিবর্তন আনতে চায় সিকুয়া। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য ও জলজ চাষ শিল্পে পরিবর্তন আনতে চায় সিকুয়া। ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মার্কিন ডলারে ছয় অঙ্কের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পেয়েছে বাংলাদেশি ব্লু-টেক স্টার্টআপ সিকুয়া।

বাংলাদেশের মৎস্য ও জলজ চাষকে (অ্যাকুয়াকালচার) আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ২০২২ সালে স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিকুয়া জানিয়েছে, মৎস্য ও জলজ চাষে অপচয় কমাতে এবং এর উপযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন ভ্যালু চেইন চালু করেছে তারা।

স্টার্টআপটি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষের প্রথাগত সমস্যাগুলো দূর করে স্থানীয় উৎপাদকদের আরও উপযোগী করে তোলার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মৎস্য ও জলজ চাষ শিল্পের সমস্যাগুলো কোনো গোপন বিষয় নয়। সিকুয়া উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে এই বাধাগুলো দূর করার চেষ্টা করছে।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রথাগত সাপ্লাই চেইনের অদক্ষতা দূর করা, স্বচ্ছতা বাড়ানোর মাধ্যমে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী চাষিদের সরাসরি বাজারে প্রবেশ এবং তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সিকুয়া।

জেলে ও চাষিরা মাছসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী ও শৈবাল কখন সংগ্রহ করছেন, তার হালনাগাদ তথ্য মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবে সিকুয়া। ট্রেসেবিলিটি ম্যাপের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন বিনিয়োগের কারণে এসব কাজের পাশাপাশি পরিবেশ ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম আরও বড় করতে পারবে।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল

 

Comments