হার দিয়ে বছর শুরু মেসি-নেইমারবিহীন পিএসজির

ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি ছুটি কাটিয়ে এখনও আর্জেন্টিনা থেকে ফেরেননি ফ্রান্সে। আগের ম্যাচে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় খেলার সুযোগ ছিল না নেইমারের। তাদেরকে ছাড়া মাঠে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শিরোপাধারী পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানের চলমান মৌসুমে তাদেরকে প্রথম হারের তেতো স্বাদ দিল লেঁস।

হার দিয়ে নতুন বছর (২০২৩ সাল) শুরু করেছে পিএসজি। রোববার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয়েছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা। এতে জমে উঠেছে লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ের লড়াই। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের ম্যাচে প্যারিসিয়ানদের সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে ১০ পয়েন্ট করার। সেটা তারা পারেনি। উল্টো হেরে যাওয়ায় পয়েন্টের ব্যবধান কমে চারে নেমে এসেছে।

ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। ৬০ শতাংশ সময়ে তাদের পায়ে ছিল বল। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৬ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। অন্যদিকে, স্বাগতিকরা চারটি শট লক্ষ্যে রাখে তাদের ১০ শটের মধ্যে।

তারকাবহুল আক্রমণভাগের দুই তারকা আর্জেন্টাইন মেসি ও ব্রাজিলিয়ান নেইমার না থাকায় ভার ছিল কিলিয়ান এমবাপের কাঁধে। কিন্তু ফরাসি এই স্ট্রাইকার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার পারেননি। সতীর্থদের কাছ থেকে যেমন সহায়তা পেয়েছেন হাতেগোনা, তেমনি নিজেও একক নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন।

এক মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই। আর প্রথমার্ধের পঞ্চম মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে গোল হজম করে বসে পিএসজি। মাসাদিয়ো হায়দারার শট গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল পেয়ে যান অরক্ষিত শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি। অনায়াসে বল জালে পাঠান তিনি।

সমতায় ফিরতে সময় লাগেনি সফরকারীদের। নর্দি মুকিয়েলের বাড়ানো বলে হাত লাগিয়েছিলেন গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা। তবে তিনি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই সুযোগ বুঝে নিশানা ভেদ করেন হুগো একিতিকে। লেঁসের খেলোয়াড়রা বিরোধিতা করলেও ভিএআরের সাহায্যে টিকে থাকে গোলটি।

২৮তম মিনিটে ফের পাল্টা আক্রমণে এলোমেলো হয়ে পড়ে গালতিয়ের দল। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে সেকো ফোফানা বাড়ান সামনে। ডি-বক্সে তা পেয়ে এগিয়ে আসা দোন্নারুমার শরীরের নিচ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন লোইস ওপেন্দা। ফলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেঁস।

ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে থাকা পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খায় ধাক্কা। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে দানিলো পেরেইরার বাজে পাসে ডি-বক্সের প্রান্তে বল হারান মার্কো ভেরাত্তি। সুযোগসন্ধানী ওপেন্দা ব্যাক হিলে খুঁজে নেন অ্যালেক্সিস ক্লদ মরিসকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এরপর জোরালো শটে জাল কাঁপান তিনি।

বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি পিএসজি। ৫৪তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির দূর থেকে নেওয়া শট রুখে দেন সাম্বা। সাত মিনিট পর এমবাপের নিচু শটও তাকে ফাঁকি দিতে পারেনি। ৭৫তম মিনিটে আবারও লেঁসের ত্রাণকর্তা এই গোলরক্ষক। পাবলো সারাবিয়ার হেড দারুণ দক্ষতায় ফেরান তিনি।

১৭ ম্যাাচে ১৪ জয় ও দুই ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৪৪। সমান ম্যাচ খেলে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে লেঁসের নামের পাশে রয়েছে ৪০ পয়েন্ট। মার্সেই ও মোনাকো ৩৩ পয়েন্ট করে নিয়ে গোল পার্থক্যে যথাক্রমে তিন ও চার নম্বরে অবস্থান করছে।

Comments

The Daily Star  | English

No active militant presence in Bangladesh: home adviser

The reports of suspected extremists' deportation from Malaysia shows no links to local terrorist networks, he says

20m ago