অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ সিলেট নগরী
সিলেটে বুধবার সকালে ৬ ঘণ্টায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে সড়কে পানি জমে গেছে। এমনকি বিকেল পর্যন্তও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আবারও সিটি করপোরেশনের হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা দাবিতে নগরীর কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ মানুষ।
সিলেট জেলা আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন বলেন, 'সিলেটে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এই মৌসুমে এমন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক।'
ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর পাঠানটুলা, আখালিয়া, দরগাহ মহল্লা, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, তালতলা, কদমতলী, ওসমানী মেডিকেল কলেজ, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কুমারগাঁওসহ নগরীর অসংখ্য এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
বৃষ্টির কারণে জিন্দাবাজার এলাকার রাজা ম্যানশন, ইদ্রিস মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের নিচতলা প্লাবিত হয় এবং নগরীর বেশ কিছু এলাকায় বাড়িঘরেও পানি ঢুকে যায়।
জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়াও দোকানপাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার রাজা ম্যানশনের পপি লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী গোলজার আহমেদ বলেন, 'বৃষ্টির পানি মার্কেটে ঢুকছে শুনেই চলে আসি, কিন্তু এরই মধ্যে পানি ঢুকে কয়েক লাখ টাকার বই ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনের পানি উপচে পানি ঢুকে যায়, এ দায় নেবে কে?'
সিলেট সিটি করপোরেশনের গৃহিত প্রকল্পের নথি অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন সংশ্লিষ্ট দুইটি প্রকল্পে ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট একটি ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে, যা এ বছরের ডিসেম্বর মাস শেষ হবে।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'সামান্য বৃষ্টিতেই নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে আর এর পেছনে দায়ী সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত প্রকল্প।'
সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও কেউ কল রিসিভ করেননি।
Comments