মধ্যরাতে কক্ষ দখল নিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে উত্তেজনা, পরে ভাগাভাগি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’, ‘চ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে কক্ষ দখল নিয়ে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কক্ষটি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন৷

মঙ্গলবার মধ্যরাতে হলের ২৭৪ নম্বর রুম নিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়৷  

এ সময় তারা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় মহড়া দিতে থাকেন। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে কক্ষটি ভাগাভাগি হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হলের ২৭৪ নম্বর কক্ষ দখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। কক্ষটিতে মোট ৪ জন থাকতেন। এর মধ্যে ২ জন হল ছাত্রলীগ সভাপতি কামাল উদ্দীন রানার অনুসারী। আর বাকি ২ জনের সম্প্রতি চাকরি হয়ে যাওয়ায় তারা হল থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হল ছাত্রলীগের ২ নেতা সম্ভাব্য খালি হওয়া সিটগুলোর তালিকা তৈরি করে আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। সেই তালিকা অনুসারে, সিট ২টি পড়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের গ্রুপের ভাগে।

তবে খালি হওয়ার পর সিট দখল নিতে হাজির হয় ২ গ্রুপের লোকজনই। কামাল উদ্দীন রানার গ্রুপের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাকিবুর রহমান সায়েম নামের এক শিক্ষার্থী ওই কক্ষে তালা মারতে যান। সেই সময় রুবেল হোসেনের অনুসারীরা তাকে বাধা দেন। সায়েম নিজেদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে সবাইকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। এর পরপরই তাদের গ্রুপের লোকজন সেখানে হাজির হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন রুবেল হোসেনের অনুসারীরা।

এ সময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ২ পক্ষই নিজেদের দলবল নিয়ে প্রধান ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মহড়া দিতে থাকে। পরে কামাল উদ্দীন রানা ও রুবেল হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন এবং নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে রুমের সিট ভাগাভাগি করে নেন।

এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা বলেন, 'রুমের সিটটি যার ছিল সে আমাদের ২ জনকেই (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) সিটটি দিয়ে যায়৷ এতে করে ছেলেদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়। পরে আমি আর সাধারণ সম্পাদক গিয়ে বিষয়টা মিটমাট করে একটি একটি করে সিট ভাগাভাগি করে নিয়ে নিই।'

তবে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'ছেলেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা গিয়ে পরে সেটি মিটমাট করে দিয়েছি।'

এ বিষয়ে জানতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।

তিনি বলেন, 'আমি আজ হলে গিয়েছি। এ ঘটনার কথা আমি জানতে পারিনি। এখন যেহেতু জেনেছি, আমি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Agent banking drives rural remittance boom

Bangladesh’s agent banking network is continuing to play a transformative role in the country’s financial system, especially through the channelling of remittances through agent outlets.

4h ago