‘ভাই তুলে নিয়ে যেতে বলেছে’ বলায় ঢাবিতে মারধর, পরে মীমাংসা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার

গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল থেকে তুষার নামের এক ছাত্রলীগের কর্মীকে মোটরসাইকেলে করে আনতে যান প্রজিত দাস নামের এক ব্যক্তি। এসএম হলের ছাত্রলীগ কর্মী মিলন তাকে সেখানে পাঠান।

সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী প্রজিতের আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন 'ভাই (মিলন) আমাকে বলেছে তুষারকে তুলে নিয়ে যেতে'। এ কথা বলায় তুষারসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মারধর করেন।

মারধরকারীদের ভাষ্য, 'তুলে নিয়ে যাওয়া'র কথা শুনে হুমকি দিচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য তাকে মারধর করা হয়।

ঘটনার দিন মারধরকারী তুষার এবং শামীমুল ইসলামের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ফোন এবং নগদ সতের হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তুষার এবং শামীমুল। পরে বুধবার রাতে থানায় বসে দুই পক্ষ আপোষ করেন।

আপোষনামায় মারধরের শিকার প্রজিত বলেছেন, ছিনিয়ে নেওয়া ১৭ হাজার টাকা এবং ফোন তিনি ফেরত পেয়েছেন। তাকে মারধর করার জন্য অভিযুক্তরা ক্ষমাও চেয়েছেন। তাই তিনি আভিযোগ তুলে নিচ্ছেন।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মারধরকারী শামীমুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তুষার ভাইকে তুলে নিয়ে যেতে হলে এসেছেন বলায় আমরা মনে করেছি, তিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের বড় ভাইকে নিয়ে যেতে এসেছেন। যার জন্য এতো কিছু। কিন্তু পরে শুনলাম আসলে তিনি ওই অর্থে কথাটি বলেননি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।'

আপোষ করার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমরা তাকে কিছুটা মারধর করেছি, এটা সত্য। কিন্তু তার থেকে কোনো টাকা এবং ফোন নেওয়া হয়নি। এ জন্য আপোষের সময় কোনো টাকা বা ফোন হস্তান্তর করা হয়নি।'

আপোষনামাতে সতের হাজার টাকা এবং ফোন ফেরতের কথা লেখা আছে—এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আপোষনামাটি লিখেছেন দ্বিতীয় পক্ষ, সেখান কি লেখা ছিল আমরা খেয়াল করিনি। আমরা ঘটনাটি নিয়ে খুব চাপে ছিলাম। আমরা তাড়াতাড়ি মীমাংসা করতে চেয়েছি। এ কারণে তাড়াহুড়ো করে স্বাক্ষর করি।'

তবে এ ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি জানিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগ দায়ের পর অনেক বার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার কোনো সাড়া পাইনি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Economist Abul Barkat held in corruption case

Prof Abul Barkat was the chairman of state-owned Janata Bank PLC

7m ago