কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শেবাচিম শিক্ষার্থীদের নিরাপদ হলের দাবির আন্দোলন স্থগিত

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শেবাচিম
বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। ছবি: টিটু দাস/স্টার

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

নিরাপদ হলের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বরিশাল সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করে এ সমস্যা নিরসনে ৭ দিনের সময় চায়।

বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষকে ৭ দিন সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ৭ দিন দেখব। এই ৭ দিন ঝুকিপূর্ণ হলেই থাকব। যদি এই সময়ের মধ্যে ছাত্ররা কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তবে তার ক্ষতিপূরণ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।'

শিক্ষার্থীরা জানান, শেবাচিম শিক্ষার্থীদের জন্য ৬টি হোস্টেল রয়েছে। প্রতিটি হোস্টেলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা প্রতিনিয়তই খসে পড়ছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এতে আহতও হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাবিবুর রহমান হলের  এক থেকে তিনতলা পর্যন্ত পলেস্তারা খসে পড়ছে, দরজা-জানালা ভাঙা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ l

এ অবস্থায় হলগুলোকে থাকার উপযোগী করা ও নতুন হলের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন লিখে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

দাবি আদায় না  হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্যে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

যোগাযোগ করা হলে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী  প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩ বছর আগে হাবিবুর রহমান হলের তিন তলার একটি কক্ষ ঝুকিপূর্ণ অবস্থার কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে যে অবস্থা, তা আশঙ্কাজনক। আমরা দুয়েকদিনের মধ্যে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করব।'

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজজামান শাহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ১০ তলা ভবন নির্মাণ নিয়ে দুটি প্রজেক্ট এ মুহূর্তে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটি অনুমোদন  হলে আশা করি সমস্যা হবে না। আমরা সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত অন্য জায়গায় ছাত্রদের সরিয়ে নিতে ৭ দিনের সময় চেয়েছি।'

Comments