জিয়া হলের প্রভোস্টকে অপসারণের দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় হল প্রভোস্টের অপসারণ, জড়িতদের বিচার ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। / ঢাবি উপাচার্য / / /
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের সমাবেশে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় হল প্রভোস্টের অপসারণ, জড়িতদের বিচার ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে আজ দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি রাজিব কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদক আরমানুল হক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক আবরার ইফাজ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় জিয়া হলের শিক্ষার্থী মারুফকে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতন করে এবং হল প্রভোস্ট মারুফকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে থানায় সোপর্দ করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত জ্ঞানচর্চার পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ।

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারের পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ভিন্ন মত দমনের এক ভয়ংকর সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে। যার পরিণতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলছে একের পর এক। পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহতার রূপ নিয়েছে যে ন্যুনতম সমালোচনা তারা সহ্য করতে পারছে না। জিয়া হলের শিক্ষার্থী মারুফকে নির্যাতন করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে হল প্রভোস্টও সমানভাবে জড়িত। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং একই সঙ্গে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে হল প্রভোস্ট বিল্লাল হোসেনকে অপসারণ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ দখল করার মধ্য দিয়ে হলগুলোকে এক একটি টর্চার সেলে পরিণত করেছে। হলগুলো অবৈধ দখলদারিত্ব মুক্ত করে প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট প্রধান করার মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশ এবং মুক্তজ্ঞান চর্চার জন্য গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Comments