জাবিতে ‘প্রক্সি’ দিয়ে উত্তীর্ণ, ভর্তি পরীক্ষার্থী ভাইভায় আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার লিখিত অংশে উত্তীর্ণ এক পরীক্ষার্থীকে ভাইভার সময় আটক করা হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীর হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
প্রক্সি
সৈয়দ আব্দুস সামি। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার লিখিত অংশে উত্তীর্ণ এক পরীক্ষার্থীকে ভাইভার সময় আটক করা হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীর হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

আটককৃত সৈয়দ আব্দুস সামির বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। তিনি আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ভাইভা দিতে গিয়ে আটক হন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ এস এম রাশিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আটককৃত আব্দুস সামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভর্তি পরীক্ষায় 'প্রক্সি'র বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

সামির বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি জানান, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে প্রক্সির বিষয়ে কথা হয় সামির। শাকিল বুয়েটের এক শিক্ষার্থী মাহফুজের মাধ্যমে 'প্রক্সি' দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে শাকিলের মাধ্যমে তার সঙ্গে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তি হয় মাহফুজের। ভর্তি পরীক্ষার আগে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভাইভা শেষে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়ার কথা। শাকিল ওই টাকা তার কাছেই জমা রাখেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারদের কাছে সামি বলেন, 'সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে লিখিত পরীক্ষার আসন পড়ে। আমি পরীক্ষা দেইনি। তবে মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত জানি না। মেধা তালিকায় আমি ১১৬তম হই। মাহফুজ ভাইয়ের সহযোগিতায় আরও ৩-৪ জন এরকম চুক্তি করেছে বলে জানি। এ পুরো বিষয়ে সব ধরনের ঝুঁকি শাকিল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।'

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার খাতার (ওএমআর) লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।'

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।'

Comments