ক্যাম্পাস

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রণালয়কে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিঠি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন না মানাসহ অন্যান্য অসঙ্গতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জাবি উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন প্রায় ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন না মানাসহ অন্যান্য অসঙ্গতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জাবি উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন প্রায় ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইনের সই করা এই চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সশরীরে চিঠি দেওয়া হয়েছে ও বাকি দপ্তরগুলোতে মেইল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

অধ্যাপক রায়হান রাইন চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আচার্যর কাছ থেকে খুব দ্রুত কোনো উত্তর আশা করছি।'

তাদের দাবিগুলো হলো—১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ না করা, লাইব্রেরি না ভেঙে নতুন লাইব্রেরি নির্মাণ করা, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নসহ শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন ভবন নির্মাণ করা ও সব দল-মতের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে তদারকি কমিটি গঠন করা।

চিঠিতে বলা হয়, '২টি রেজিস্ট্রার ভবন থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয় আরও একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা দাবি জানাচ্ছি, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রয়োজনীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হবে।'    

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, 'লাইব্রেরি ভবনটি ভাঙার বিরুদ্ধে বিপুল জনমত থাকা সত্ত্বেও ভবনটি ভেঙে ফেলার ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে প্রশাসন। নির্মিতব্য আবাসিক হল ভবন ২টির একটি করে ফ্লোর লাইব্রেরির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আরও একটি সমস্যা ডেকে আনছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি ২টি লাইব্রেরি ভবন থাকে, তাতে সমস্যা হওয়ার কোনো কারণ আমাদের বোধগম্য নয়। প্রয়োজনে ২টি ভবন ২ স্থানে নির্মিত হলেও সংকট হওয়ার কথা নয়।'

'বর্তমান প্রকল্পের ডিপিপি ও লেআউট প্ল্যানটি রাখা হয়েছে সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এর মধ্য দিয়ে মতামত প্রদান, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পথকে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক মারফত ডিপিপিতে তথ্য গোপন করে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারার ব্যাপারেও আমরা জানতে পেরেছি। একদিকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে সরকার অধিকাংশ মেগা প্রজেক্টসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচনের নীতি অবলম্বন করছে, অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা অপচয় করার পাঁয়তারা করছে', চিঠিতে যোগ করা হয়।

 

Comments