চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ctg_university.jpg
ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

পূর্ব ঘোষিত দাবি আদায়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকালে ৯টায় শিক্ষার্থী চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং সেখানেই অবস্থান নেন।

এর আগে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসহ ২২ দফা দাবিতে উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু; ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি; বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা; বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা; পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ; আর্ট ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবস্থা; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা; পাঠাগার সংস্কার; জেনারেটরের ব্যবস্থা; মেডিকেল ব্যাকআপ; খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থা; মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা; অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল; প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন; শিক্ষার্থীদের জন্য মিলনায়তনের ব্যবস্থা; সেমিনারের পরিধি বাড়ানো; ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ; ওজু ও নামাজের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা; সন্ধ্যার পরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা; প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা করা।

চারুকলা প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জান্নাত ইশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এখানে যে পরিবেশ পাওয়ার কথা সেটা পাচ্ছি না আমরা। মনে হয় যেন কোচিংয়ে আসি আমরা, একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আবার বাসায় চলে যাই। ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। মেয়েদের হল নেই। সব কিছু নিয়ে আমরা দাবি রেখেছি, আমাদের মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়া হোক কিন্তু শিক্ষকরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭৯ জন নারী শিক্ষার্থী ও ১৭৪ জন পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

9h ago