মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপনের খরচ উপাচার্য ব্যক্তিগত খাত থেকে দেবেন: চবি রেজিস্ট্রার

চবি
ফাইল ছবি

জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নবনিযুক্ত দুজন মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর খরচ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার তার ব্যক্তিগত খাত থেকে বহন করবেন।

চবি রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নবনিযুক্ত দুজন মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার চবি কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 

পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের খরচ কোন খাত থেকে করা হচ্ছে, সেটিও জানতে চায় মঞ্জুরি কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনো চিঠির কপি হাতে পাইনি। শুনেছি চিঠিতে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। আমরা সেভাবেই দেবো। তবে পত্রিকার বিজ্ঞাপন খরচ উপাচার্য নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেবেন বলে জানিয়েছেন আমাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'চিঠি হাতে পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

১২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে নবনিযুক্ত মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

তবে এ নির্দেশনা না মেনে কয়েকটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান চবি উপাচার্য শিরীণ আখতার।

একইভাবে ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের স্থানীয় সংবাদপত্র এবং জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চবি উপাচার্য।

অবশ্য, এ বিজ্ঞাপনটির খরচ কোন খাত থেকে দেওয়া হবে, তা জানতে চায়নি ইউজিসি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্দেশনা কেন মানা হলো না এবং কোন খাত থেকে বিজ্ঞাপনের ব্যয়ভার বহন করা হবে তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।'

১৫ জানুয়ারির বিজ্ঞাপনটির বিষয়ে কেন চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হলো না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের সচিবের সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে।'

দুটি ঘটনার বিষয়ে জানতে চবি উপাচার্য শিরীণ আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, উপাচার্য মিটিং আছেন।

প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার চবির প্রথম নারী ও ১৮তম উপাচার্য। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব নেন। গত ২০২১ এপ্রিল তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

14h ago