দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান, কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত 

শিক্ষকরা পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চলে যাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষকদের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৩ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

নির্বাচনের আগের রাতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার সিদ্ধান্তে সাদা ও নীল দলের দুই পক্ষের শিক্ষকরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোট নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চলে যায়।

পরে ভোটগ্রহণের সময় পার হয়ে যাওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান নির্বাচন স্থগিতের এ ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্র ও নিয়ম অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপস্থিত শিক্ষকদের দুই পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে এবং তফসিলে উল্লেখ করা ভোট গ্রহণের সময় দুপুর ১টা পার হয়ে যাওয়ায় আজকের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হলো।'

তবে নির্বাচন স্থগিত হলেও, পরবর্তীতে কবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

নির্বাচন স্থগিতের পরিপ্রেক্ষিতে সাদা দলের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার দলীয় শিক্ষকদের প্রভাবেই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা যায়নি।'

এর আগে ১০৬ জন শিক্ষকের সই করা একটি অনাস্থাপত্র দেওয়া হলেও তা আমলে না নিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করে শিক্ষকদের একটি অংশ।

এ প্রসঙ্গে নীল দল একাংশের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-তত্ত্ববিদ্যার ড. আইনুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আপত্তি দিয়েছি। একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে নির্বাচন হোক।' 

তবে সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের আগে সাধারণ সভা হলেও, এবার কোনো সভা হয়নি। আগে সবসময় শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, এবার কোনো নোটিশ ছাড়াই ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago