যৌন হয়রানি: নোবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপকের পদাবনতি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিককে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করা হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ হয়েছে।
রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা সহ–উপাচার্য মোহাম্মদ আবদুল বাকীর সই করা আদেশে বলা হয়, ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠলে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে। আগামী ৫ বছর তিনি পদোন্নতি পাবেন না। এ সময়ের মধ্যে তিনি শিক্ষাছুটি পাবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছন।
শিক্ষা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৯ জন নারী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ওই সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মুশফিকুর রহমানের অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশের আলোকে রিজেন্ট বোর্ডে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
পদাবনতির পাশাপাশি শিক্ষা বিভাগের যেসব ব্যাচের শিক্ষার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি ওই ব্যাচগুলোর কোনো একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তার ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান পর্যবেক্ষণ করবেন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য মো. দিদার উল আলম ও রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আবদুল বাকীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযুক্ত শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো চিঠি পাননি তাই মন্তব্য করবেন না।
Comments