ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ২ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
Islamic_University_Kustia
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ২ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।

অভিযুক্ত দুজন হলেন—পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম।

সূত্র জানিয়েছে, হলে সিট না থাকায় ওই ছাত্রী গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরুর দিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে ওঠেন। ওই রাতেই ছাত্রলীগকর্মী তাবাসসুম ডাইনিং রুমে নতুন শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান, কারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে থাকেন। ওই ছাত্রী হাত তুললে তাবাসসুম ক্ষুব্ধ হন।

কেন তাবাসসুমকে এই তথ্য আগে জানানো হয়নি সেই প্রশ্ন করেন এবং হলের প্রজাপতি-২ রুমে (সানজিদার রুম) দেখা করতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী দেখা করতে যাননি বলে জানায় সূত্র।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীকে হলের গণরুমে (দোয়েল) ডেকে নেন সানজিদা। সেখানে সানজিদা, তাবাসসুমসহ কয়েকজন তাকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন করেন।

যোগাযোগ করা হলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে। কিল, ঘুষি, থাপ্পড়ও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। সে সময় তিনি লক্ষ করেন তার পোশাক সুশৃঙ্খল ছিল না। নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললে হল থেকে বের করে দেওয়া এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, 'অভিযোগ যখন ওই ছাত্রী দিয়েছে তখন তাকেই প্রমাণ করতে হবে ঘটনা সত্য কি না।'

এ সময় সানজিদা দাবি করেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। 

তাবাসসুম ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে প্রতিবারই বন্ধ পাওয়া যায়।

শাহাদাত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি ঘটনাটি জানিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।'

Comments