ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের র‌্যাগিং ও যৌন নির্যাতনবিরোধী মিছিল

র‌্যাগিং এবং যৌন হয়রানির মতো ঘটনাকে ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রলীগের নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতন ও র‌্যাগিংয়ের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ।

সমাবেশ থেকে র‌্যাগিং এবং যৌন হয়রানির মতো ঘটনাকে 'ফৌজদারি অপরাধ' হিসেবে অভিহিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রলীগের নেতারা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন হল ও আশপাশের কলেজের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তাদের অনেকের জাতে র‌্যাগিং ও যৌন নির্যাতনবিরোধী পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এরপর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।

সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি বাস্তবতা আছে যে আমরা র‌্যাগিংয়ের ঘটনাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা মাঝে মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি তাদের নিয়ে মজা করার চেষ্টা করি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এর শিকার হচ্ছেন।'

তার ভাষ্য, 'আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, র‌্যাগিং একটি ফৌজদারি অপরাধ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার পরিপন্থী।'

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন সাদ্দাম।

ছাত্রলীগ এমন একটি সময়ে এই কর্মসিূচি পালন করছে যখন প্রায়ই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় এই সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটির নাম আসছে।

আজকের সমাবেশ থেকে সাদ্দাম বলেন, 'এ ব্যাপারে ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষসহ সবার দায়িত্ব আছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও প্রত্যাশিত মাত্রায় সচেতন না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।'

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন ও র‌্যাগিংয়ের ঘটনাকে 'মর্মান্তিক' বলে অভিহিত করেন ছাত্রলীগ সভাপতি। এ ঘটনায় তারা 'শোকাহত' বলেও জানান।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম ইসলামের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নির্যাতন করা হয়।

পরে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে বিচার চান।

 

 

Comments