‘বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত’ দাবি করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণ চায় ছাত্রলীগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাউদ্দিনের অপসারণের দাবিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের প্রায় দুই শতাধিক কর্মী ভবনটিতে তালা দেন।
উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণের দাবিতে সকাল থেকে অবরোধ করছে।'
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিএনপিপন্থী রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক রাজনীতি করতেন। 'স্বাধীনতা বিরোধী কোনো শক্তিকে' তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় না।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আররাফি চৌধুরী বলেন, 'স্বাধীনতা বিরোধী কোনো শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে সেজন্য আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ঘেরাও করেছি। সমাবর্তনে সার্টিফিকেটে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ লক্ষ্য করি নাই।'
'আমরা আরও জানতে পেরেছি তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তার নাম উল্লেখ আছে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকুক,' বলেন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, 'আমি অফিসের ভেতরেই আছি, কাজ করছি। ছাত্রলীগের কিছু ছেলে এসেছিল, ওরা মনে হয় এখনো নিচে আছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে (বিএনপিপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার) এসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নাই।'
এর আগে, গত ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দিনকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান উপস্থিত আছেন। তিনি আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলছেন।
কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে সে পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অপসারণের দাবি তোলা যায় কি না জানতে চাইলে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।'
এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হকের মোবাইলে কল করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
Comments