জাবি ভর্তি পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দিতে গিয়ে আটক ২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় 'প্রক্সি' দিতে যাওয়া ২ জনকে আটক করা হয়েছে। 

আজ সোমবার 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন-সোহেল রানা (২৮) ও মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল (২৩)। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তৃতীয় শিফটের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে সোহেল এবং চতুর্থ শিফটের একই ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বিজনেস স্টাডিজ কেন্দ্র থেকে মোস্তাফিজুরকে আটক করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা গেছে, আটক সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন।

জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় সোহেলকে দেখে সন্দেহ হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাকে মা-বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন। তিনি সঠিকভাবে তা বলতে পারেননি। এছাড়া প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গেও তার মিল পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ কেন্দ্রে মোস্তাফিজুরের চেহারার সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির মিল না থাকায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন।

দুজনকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে হস্তান্তর করা হয়।

জাবি নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দুজনই তাদের প্রক্সি দেওয়ার কথা শিকার করেছেন। মোস্তাফিজুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই অপরাধ করা আরও কয়েকজনকে খোঁজা হলেও পরে পাওয়া যায়নি।'

এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আটক দুজন এখন আমাদের জিম্মায় আছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত এসেছে। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে তারা অভিযুক্তদের শাস্তি দেবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago