জাবি শিক্ষার্থীকে বাসে অপহরণের চেষ্টা, মৌমিতা পরিবহনের হেলপার আটক

এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস আটকে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাসের হেলপারকে আটকের পর আজ বাসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস ক্যাম্পাসে আটকে রাখেন জাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

মৌমিতা পরিবহনের বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে বাসের হেলপার আবির হোসেনকে (২০) আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, শাহজামান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মৌমিতা পরিবহনের বাসে জাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় বাসের হেলপার আবির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় রাখা হয়েছে। ভিকটিম পক্ষ মামলা করতে চাচ্ছে না।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংকটাউন এলাকা থেকে টিউশনি শেষে মৌমিতা পরিবহনের বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ চেষ্টা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটে বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়।

প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ব্যাংক টাউন থেকে টিউশন করিয়ে মৌমিতা বাসে করে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে আসছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, বাসের হেলপারকে ১০০ টাকার নোট দিয়ে ১০ টাকা ভাড়া রেখে বাকি টাকা ফেরত চান ওই শিক্ষার্থী। ভাংতি না থাকায় হেলপার পরে ফেরত দিতে চান। কিন্তু বাস রেডিও কলোনির কাছাকাছি আসার পর হেলপার জানায় বাস সেখানেই থেমে যাবে, আর যাবে না।

এ সময় বাসের সব যাত্রী নেমে যায়। ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে না নেমে হেলপারের কাছে ৯০ টাকা ফেরত চাইলে, হেলপার টাকা না দিয়ে চালককে বাস ঢাকার দিকে ঘোরাতে বলে এবং চালক বাস ঢাকার দিকে চালাতে শুরু করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাস চলতে শুরু করলে হেলপার ওই শিক্ষার্থীর হাত ধরার চেষ্টা করলে তিনি বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আহত হন।

পরে তার সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস আটকে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাসের হেলপারকে আটকের পর আজ বাসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আলমগীর কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মৌমিতা পরিবহনের হেলপারকে পুলিশ আটক করার পর বাসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। মামলার বিষয়টি ভিক্টিমের ওপর নির্ভর করছে। ভিক্টিম কোনো কারণে মামলা করতে না চাইলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে।

Comments