মারধরের ছবি তোলায় জাবি প্রথম আলো প্রতিনিধিকে পেটাল পুলিশ

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে একটি গাড়িতে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মারধর করে। এই ছবি তুলছিলেন ওই সাংবাদিক।
আহত শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি বাধা দিয়ে মারধরের ছবি তোলার সময় সাংবাদিককে পেটায় পুলিশ। ছবি: স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলো প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মারধর করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বর এলাকায় ছবি তোলার সময় তাকে মারধর করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টার সংবাদদাতা জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষার্থে বিভিন্ন হল ও জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।

পুলিশের রাবার বুলেটে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মারধর করে।

পুলিশের মারধরের ছবি তুলছিলেন সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় কয়েকজন পুলিশ তাকে বাধা দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তাকে লাঠি দিয়ে পেটায়।

মারধরে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সেখানে অন্তত দেড়শ পুলিশ ছিল। সাংবাদিককে পেটানো পুলিশ সদস্যদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এর কিছুক্ষণ পরই সেখানে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল কাফি উপস্থিত হন। জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জাবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাবার বুলেটবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

Comments