শামীমকে পিটিয়ে হত্যা: গাজীপুর থেকে জাবি শিক্ষার্থী রায়হান গ্রেপ্তার

শামীম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকাথেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান রায়হানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রায়হান হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি।

ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তিনি তার এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন।'

তার দেও য়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অপর আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আট শিক্ষার্থী ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

ওই এজাহারে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. আহসান লাবীব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাজু আহাম্মদ, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাজন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হামিদুল্লাহ সালমান, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ, একই শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আতিকুজ্জামান এবং সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ মিয়াকে আসামি করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে এই আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে গতকাল শনিবার মামলার চার নম্বর আসামি জুবায়ের আহমেদের নাম বাদ দিয়ে ফার্মেসি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম ভূইয়ার নাম যোগ করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন এজাহারে মামলায় এক নম্বর আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবীবকে ৮ নম্বর আসামি করা হয় এবং ৮ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রাজন মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

54m ago