চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে চবি শিক্ষার্থীদের অনশনের ২৪ ঘণ্টা

চবি চারুকলার অনশনরত নয় শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ইনস্টিটিউটের নয় শিক্ষার্থী।

তাদের অনশনের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশাসন 'টালবাহানা' করছে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ধীরে ধীরে অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে রূপ নেয়।

সোমবার দুপুরে অবস্থান কর্মসূচির পর বিকেল ৩টায় আমরণ অনশনের ডাক দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও আওয়ামীপন্থী কিছু শিক্ষক নিজেদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্তে বাঁধা দিচ্ছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও একটি সিন্ডিকেট সভার জন্য এই প্রক্রিয়া আটকে আছে। প্রশাসন চাইলে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে প্রজ্ঞাপন দিতে পারে। কিন্তু করছে না।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রশাসন যে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিল, তার ২১ দিন পর আমরা অনশন শুরু করেছি। আগের প্রশাসন আমাদের নানাভাবে আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। তবে বর্তমান প্রশাসন খুবই আন্তরিক। আমরা শুধু একটি সিন্ডিকেট সভার অপেক্ষায়। কিন্তু, যতক্ষণ আমাদের দাবি পূরণ না হচ্ছে, অনশন চালিয়ে যাবো।'

চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহামুদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকবার আশ্বাস দিলেও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। আমরা আর প্রশাসনের ওপর ভরসা করতে পারছি না। আমাদের বিভাগেরই কিছু শিক্ষকের জন্য এই দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।'

চারুকলার পরিচালক অধ্যাপক কাজল দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, শুধু একটি সিন্ডিকেট সভার অপেক্ষা। শিক্ষার্থীরা বললেই তো সিন্ডিকেট সভা দেওয়া যায় না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটা বুঝতে চাইছেন না। আমাদের আরও শিক্ষার্থী রয়েছেন, তারা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু কয়েকজন এটা মানছেন না। আমাদের এখানে ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছুই চলছে।'

২০২৩ সালের ২ নভেম্বর চারুকলার শিক্ষার্থীরা ২২ দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। টানা ৮২ দিন আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সাত দিনের আল্টিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি ফের আন্দোলনের নামে।

এরই মাঝে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

18h ago