চবির স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে

ছবি: সংগৃহীত

দুই দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

তাদের দাবিগুলো হলো—সেশন জট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করা এবং আগামী এক বছরের জন্য তিন সেমিস্টারের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, ক্লাস শুরু ও পরীক্ষা শুরু করা।

আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশনের বসেন।

শিক্ষার্থী হলেন—তারেক মাহমুদ, আবু রাজিন মন্ডল, শাহারোব স্বাধীন, মিফতা জাহান মিম, পবিত্রী রানী, শ্রুতি রাজ, হাফসা কাউসার মিশু, মো. জাবেদ, বখতিয়ারুল, মুহাইমিন আনাম, ওয়ালীউল্লাহ, ক্যএ সিং মার্মা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের সেশন জট। বারবার প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েও আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। আগের উপাচার্যের সময় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ১৮ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করা হবে কিন্তু সেই ১৮ দিন দেড় বছরেও শেষ হয়নি। যে কারণে আজ আমরা অনশনে বসেছি। আমাদের দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহিম আনাম বলেন, 'আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই দুই দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক।'

তিনি বলেন, 'সেশন জটের কারণে আমরা যে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি, এটা আমরা প্রশাসনকে আবার মনে করিয়ে দিতে চাই। আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাচ্ছি না।'

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, 'আমাদের বিভাগটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের বিভাগের সেশন জট। আমাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, যে কারণে আমরা আজকে অনশনে বসেছি। এই প্রশাসন, এর আগের প্রশাসন আমাদের অনেক আশা দিয়েছে কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।'

আরেক শিক্ষার্থী আবু রাজিন মন্ডল বলেন, 'আমার চার বছরের স্নাতক শেষ করতে সময় লেগেছে আট বছর। প্রত্যেক প্রশাসন আমাদের বারবার আশ্বাস দেয় কিন্তু আমরা এর কোনো সুফল পাই না।'

'বর্তমান প্রশাসন আসার সাত মাস হয়ে গেল, এখনো আমাদের বিভাগ নিয়ে কোনো কাজ করছে না, সেশন জট নিয়ে কোনো কাজ করছে না। উপায় না পেয়ে আমরা আজকে অনশনে বসেছি,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago