চবিতে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল।
সমাবেশে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন 'দফা এক দাবি এক, প্রশাসনের পদত্যাগ', 'অবিলম্বে প্রশাসনের পদত্যাগ করতে হবে', 'শিক্ষার নামে বৈষম্য চলবে না', 'আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না' ইত্যাদি।
ছাত্রদলের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বারবার স্থানীয়দের হাতে হামলার শিকার হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
তাদের মতে, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করা প্রশাসনের দায়িত্ব হলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।
সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের দিনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব কারণে প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব হলো অবিলম্বে পদত্যাগ করা।
চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, 'এই প্রশাসন ব্যর্থ প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার কথা থাকলেও তারা নিয়োগ বাণিজ্যে ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় রক্ত দিচ্ছে আর প্রশাসন ভবনে বসে নিয়োগ চালাচ্ছে।'
'সেদিন রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় যদি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিত, তাহলে আমাদের ভাইদের হাসপাতালে শুয়ে থাকতে হতো না। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপও নেই,' বলেন তিনি।
চবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, 'এ সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়দের দায় থাকলেও সবচেয়ে বড় দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমরা দেখছি জোবরা এলাকার বাসিন্দারা বারবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। জুলাই আন্দোলনের পর আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলেই আজকের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই ব্যর্থ প্রশাসনের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অন্তবর্তীকালীনভাবে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক, যিনি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আন্তরিক হবেন।'
এর আগে, গতকাল রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থী, ছাত্রদলসহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা একসাথে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
Comments