স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে শিক্ষা স্মার্ট হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষা স্মার্ট হতে হবে এবং শিক্ষাকে স্মার্ট করতে আমরা কয়েক বছর ধরে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি।'
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখছি। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন। ২০২২ সালে এসে বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়ে গেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশকে তিনি উদ্ভাবনীর বাংলাদেশ তৈরি করে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ করবেন।'
'এর ফলে আমরা সবদিক থেকে চৌকস হব। আমাদের শিক্ষা হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের গভর্নেন্স হবে স্মার্ট, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য হবে স্মার্ট। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করব,' যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষাটাকে স্মার্ট হতে হবে। শিক্ষাটাকে স্মার্ট বানাতে আমরা কয়েক বছর ধরে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঠিক যেভাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং তিনি যেভাবে চিন্তা করেছিলেন তা অনুসরণ করে বঙ্গববন্ধুকন্যা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, শিক্ষানীতি করে দিয়েছেন।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের উপযোগী করতে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তার সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে যে রকম শিক্ষা ব্যবস্থা করা দরকার, ঔপনিবেশিক শিক্ষা নয়, যেটি বঙ্গবন্ধুর ভাষায় কেরানি পয়দা করার শিক্ষাব্যবস্থা সেটি নয়। একটি সাধারণ দেশের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়বার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।'
'এজন্য বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা করা হয়েছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'উচ্চ শিক্ষায় ২০৩০ পর্যন্ত যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, আমরা সেগুলো সব অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।'
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনার দিকগুলো আছে, একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জও আছে। আমাদের এসব অর্জন করতে গেলে পথে অনেক বাধা-প্রতিবন্ধকতা আছে। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবার ক্ষেত্রে অনেক অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করতে জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। সেই প্রস্তুতের ক্ষেত্রটা হলো শিক্ষা।'
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বিরাট অংশ আমাদের দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া, কৃষিজীবী, মৎস্যজীবী পরিবার থেকে আসা। এই শিক্ষার্থীরা দেশটাকে পুরোপুরি পাল্টে ফেলতে পারে। গত কয়েক বছরে বিসিএস পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাফল্য গর্ব করে উল্লেখ করার মতো।'
মন্ত্রী জানান, কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে ১২টি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
Comments