লালমনিরহাট

৫ মাস পর বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলমুক্ত

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গড়ে ওঠা বাড়ি ও কলার বাগান উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে অবৈধ বাড়ি ও কলাবাগান উচ্ছেদ করছে জেলা প্রশাসন। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

প্রায় পাঁচ মাস পর অবৈধ দখল মুক্ত হয়েছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল কালীবাড়ী গ্রামের নিগমানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। 

বুধবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গড়ে ওঠা বাড়ি ও কলার বাগান উচ্ছেদ করে প্রশাসন।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলশাদ জাহান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, ১১ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় মমিনুর রহমান ও তার লোকজন গত বছরের ২৭ আগস্ট বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির পাশে সেখানে কলা বাগানও গড়ে তোলা হয়। 

১৯৮৭ সালে ৪৩ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে। বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন মৃত মনমোহিনী বর্মনী ও মৃত মোক্তার আলী। 
খেলার মাঠের জমি দখল করেছিলেন জমিদাতা মৃত মোক্তার আলীর ভাতিজা মমিনুর রহমান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলশাদ জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল মুক্ত করা হয়েছে। জমির মালিকানা দাবিদার মমিনুর রহমান তার পক্ষে কোনো নথিপত্র দেখাতে পারেননি।'

মাঠ দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আশিষ রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যালয়ে এবার শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে। মাঠে বাড়ি ও কলাবাগান থাকায় আমার ছেলে বিদ্যালয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করত।' 

অবৈধ দখলদার মমিনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার চাচা মৃত মোক্তার আলী জমি দান করেছিলেন বিদ্যালয়ের জন্য। কিন্তু আমার বাবা মৃত আজগর আলী জমি দান করেননি। আমি আমার বাবার অংশ ১১ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করেছিলাম।'

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খেলার মাঠে বাড়ি ও কলাবাগান থাকায় শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও অবৈধ দখলদারকে সরাতে পারিনি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খেলার মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক থাকবে।'

 

Comments