আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একটি মাত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। 
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একটি মাত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। 

তিনি বলেন, 'এ মুহূর্তে চলমান গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা ছিল। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে গুচ্ছ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই পদ্ধতিকে সমন্বয় করা হবে। আগামীতে এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে।'

আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দ্দার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন।

মেলার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দিনব্যাপী এ বিজ্ঞান মেলায় ১৮টি কলেজ অংশ নেয়।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে হয়রানি ও ব্যয় কমেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'তবে নতুন কোনো সিস্টেম চালু করতে গেলে সেখানে কিছু সমস্যা হয়, এ ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হচ্ছে।'

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আগামী বছর থেকে অন্যান্য দেশের মতো সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে একটি মাত্র পরীক্ষা হবে। জাতীয় একটি মেধা তালিকা হবে, সেই তালিকা অনুসারে ভর্তি হবে।'

তিনি বলেন, 'র‌্যাগিং সামাজিক সমস্যা। সমন্বিত উদ্যোগে এর বিরুদ্ধে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।'

দীপু মনি বলেন, 'র‌্যাগিং একেবারেই নিষিদ্ধ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে র‌্যাগিং বন্ধ করার চেষ্টা করছি। অন্যান্য সামাজিক সমস্যার মতোই একটি সমস্যা র‌্যাগিং। শুধু আইন করে কিংবা শিক্ষকদের দিয়ে বলিয়েই হবে না। র‌্যাগিং বন্ধে এর বিরুদ্ধে মানসিকতা ও একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।'

তিনি বলেন, 'সবার চাওয়া সত্ত্বেও, আইন থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনো র‌্যাগিং হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। এটি কারও কাম্য নয়। র‌্যাগিং বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এতে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে।'
 

Comments