সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ভর্তি জালিয়াতি, ৩ অফিস সহকারী আটক

বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে অফলাইনে ভর্তির নামে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কলেজের কয়েকজন অফিস সহকারী। এ কারণে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি।
বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৩ অফিস সহকারীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে র‌্যাব ও পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে অফলাইনে ভর্তির নামে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কলেজের কয়েকজন অফিস সহকারী। এ কারণে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। ভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আজ শনিবার ওই কলেজের ৩ অফিস সহকারীকে আটক করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ২ বছর তারা এই কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্লাস করেছেন, নির্বাচনী সব পরীক্ষা দিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশন ও ফরম-ফিলাপের টাকা দিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন জানতে পারেন যে, তাদের আসলে কলেজে ভর্তিই করানো হয়নি। সব মিলিয়ে এক একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কম করে হলেও ১২-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন কলেজের কয়েকজন অফিস সহকারী।

দ্য ডেইলি স্টারসহ গণমাধ্যমে খবরটি প্রচার হওয়ার পর গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ন কবিরকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বোর্ডের তদন্ত কমিটি সারাদিন কলেজে অবস্থান করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি।'

কলেজ ও বোর্ডের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, 'আমরা তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'

পরে প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজের অফিস সহকারী (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, অফিস সহকারী (মাস্টার রোল) মো. হারুনুর রশিদ এবং আরেক অফিস সহকারী আমিনুল ইসলামকে বগুড়া র‌্যাব-১২ ও শাহজাহানপুর থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। 

র‌্যাব-১২ স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তারা প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভর্তির নামে প্রতারণার সত্যতা পেয়েছেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন যেন তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতারক অফিস সহকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছেন তারা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka’s Toxic Air: High levels of cancer-causing elements found

The concentration of cancer-causing arsenic, lead and cadmium in Dhaka air is almost double the permissible limit set by the World Health Organization, a new study has found.

3h ago