যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা

ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড: ভর্তি, স্কলারশিপ ও অন্যান্য তথ্য

এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাইরে শেফিল্ড শহরের আতিথেয়তা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করতে পারেন। পিক ডিস্ট্রিক্ট ন্যাশনাল পার্কের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে।  
ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড: ভর্তি, স্কলারশিপ ও অন্যান্য তথ্য
ছবি: ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড

সাফল্য, উদ্যোগ ও গবেষণায় অবদানের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ৫০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড।

সম্প্রতিকালে রিসার্চ এক্সিলেন্স ফ্রেমওয়ার্কে শেফিল্ডের গবেষণার ৯৯ শতাংশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সর্বোচ্চ মানের শিক্ষাদানের জন্য ইউরোপের ২২তম স্থান অর্জন করেছে এটি।  

শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শিক্ষা প্রদানের দক্ষ কারিগর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং ৬টি কুইন্স অ্যানিভার্সারি পুরস্কার। সাউথ ইয়র্কশায়ারের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণার জন্য ৮১ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে তৈরি করেছে দ্য ডায়মন্ড লাইব্রেরি। 

শুধু তাই নয়, এখানকার একাডেমিক গবেষণায় উপস্থাপিত সমাধান জটিল বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় অবদান রাখছে। 

ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড যে কারণে সেরা?

এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাইরে শেফিল্ড শহরের আতিথেয়তা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করতে পারেন। পিক ডিস্ট্রিক্ট ন্যাশনাল পার্কের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে।  

১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডে রয়েছে যুক্তরাজ্যের সেরা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদা মোতাবেক সেবা দেওয়ার জন্য ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা হোয়াটুনি স্টুডেন্টস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে। দোকান, ক্যাফে ছাড়াও ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৩৫০টিরও বেশি ক্লাব ও সমিতি। 

ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড বর্তমানে সারা বিশ্বের গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম হিসেবে কাজ করছে, যেখানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, স্মার্ট উপকরণ, স্টেম সেল প্রযুক্তি প্রধান প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে বোয়িং, রোলস-রয়েস ও দ্য ওয়েলকাম ট্রাস্টের মতো বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী সংস্থার। মূলত শিক্ষার্থীদের সাংগঠনিক দক্ষতা তৈরি করতে এবং কাজের জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে নির্বাচিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি এখানকার শিক্ষার্থীদের সমস্যা-সমাধান, গবেষণা, বিশ্লেষণাত্মক, দলগত কাজ এবং নেতৃত্ব দক্ষতার বিকাশ ঘটে। 

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সাপোর্ট টিম। প্রতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ম্যানচেস্টার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজন করা হয় মিট অ্যান্ড গ্রিট প্রোগ্রাম এবং পরে রেসিডেনশিয়াল ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। নতুন দেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি ইন্ট্রো উইকে আলোচনা, তথ্য মেলা এবং ক্যাম্পাস ও সিটি ট্যুরের আয়োজন করা হয়। 

যেসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে

ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডে রয়েছে ৭৫টি বিষয়ে প্রায় ৩৫০টি কোর্স। প্রত্যেক বিষয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষক, গবেষক এবং অনুশীলনকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মীরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। 

এখানে রয়েছে হিসাববিজ্ঞান; মহাকাশ প্রকৌশল; কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান; নৃতত্ত্ব; প্রত্নতত্ত্ব; স্থাপত্য, বিল্ডিং, এবং পরিকল্পনা; শিল্প এবং নকশা; জীববিদ্যা; ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন; রাসায়নিক প্রকৌশল; রসায়ন; সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং; শাস্ত্রীয় অধ্যয়ন; কম্পিউটার বিজ্ঞান; অপরাধবিদ্যা; অর্থনীতি; ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং; প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি; ইংরেজি; ফিল্ম, সিনেমাটিক্স এবং ফটোগ্রাফি; ফিন্যান্স; খাদ্য বিজ্ঞান; গেইম ডিজাইন; ভূগোল; ভূতত্ত্ব; ইতিহাস; হসপিটালিটি, লেইজার এবং ট্যুরিজম; সাংবাদিকতা; ভাষা; আইন; মার্কেটিং; পদার্থ বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল; গণিত; যন্ত্র প্রকৌশল; মিডিয়া স্টাডিজ; ঔষধ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়; মিডওয়াইফারি; আণবিক জীববিজ্ঞান, জৈবপদার্থবিদ্যা, এবং জৈব রসায়ন; সঙ্গীত; নার্সিং; অপটোমেট্রি; প্যারামেডিক সায়েন্স; ফার্মাকোলজি, টক্সিকোলজি এবং ফার্মেসি; দর্শন; পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা; ফিজিওলজি, ফিজিওথেরাপি এবং প্যাথলজি; রাজনীতি; মনোবিজ্ঞান; প্রকাশনা, মিডিয়া, এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা; রেডিওগ্রাফি এবং চিকিৎসা প্রযুক্তি; সামাজিক শিক্ষা; সামাজিক কাজ, সফটওয়্যার প্রকৌশল; স্পোর্টস; শিক্ষাদান এবং শিক্ষা; ধর্মতত্ত্ব; ভেটেরিনারি বিজ্ঞান; প্রাণিবিদ্যা ইত্যাদি। 

আবেদনের যোগ্যতা 

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

আন্ডারগ্রাজুয়েট ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রোগ্রামে সরাসরি ভর্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়। যেমন এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শেফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের মতো ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম সম্পন্নকৃত শিক্ষার্থী আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া এ-লেভেলে ন্যূনতম ৩টি এ প্রাপ্ত, ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা এবং বাংলাদেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্নকৃত শিক্ষার্থীরা সরাসরি আবেদনের জন্য যোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে বিষয় এবং কোর্স অনুসারে প্রয়োজনীয় স্কোর যোগ্যতা কমবেশি হতে পারে।  

পোস্টগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

পোস্টগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ৩ থেকে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রির প্রয়োজন হবে। বেশিরভাগ পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্সে ভর্তির জন্য ইউকে ২:১ বা সমমানের গ্রেড প্রয়োজন হয়, কিছু কোর্স ২:২ গ্রেড বিবেচনা করতে পারে। নির্দিষ্ট কোর্সের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার জন্য কোর্স ফাইন্ডার দেখে নিতে হবে।

পোস্টগ্রাজুয়েট রিসার্চ প্রোগ্রাম

বর্তমানে ১০০টির বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডে গবেষণা করছে। রিসার্চ প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রয়োজন হবে। প্রাসঙ্গিক গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে কিছু কোর্সে শুধু স্নাতক ডিগ্রি থাকলেই চলে। 

আবেদনকারীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর প্রয়োজন পড়বে। আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে আইইএলটিএস ন্যূনতম স্কোর ৬.০ এবং পোস্টগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ন্যূনতম স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে। বিভাগভেদে আরও বেশি প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে জেনারেলে ন্যূনতম জিম্যাট ৫৮০, জিপিএ ৩.০০, টোফেল ৮০ এবং ব্যাচেলরে ন্যূনতম স্যাট ১২০০, জিপিএ ৩.০০, এটিএআর ৮৫, টোফেল ৮০ থাকলে ভালো হয়। 

আবেদন করবেন যেভাবে 

আন্ডারগ্রাজুয়েট কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় সার্কুলার প্রকাশের পর পরই আবেদন করে ফেলতে হবে। আবেদন করার আগে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল বা রেফারেন্সের জন্য অপেক্ষা না করাই ভালো। ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ আ্যাডমিশন সার্ভিস (ইউসিএএস) সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রোগ্রাম প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে কোনো ইনটেক নেই। 

প্রথমে ইউসিএএস হাবে রেজিস্ট্রেশন করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পাসপোর্ট, জন্মসনদ বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো অফিসিয়াল ডকুমেন্টে যে নাম আছে হুবহু তা-ই দিতে হবে। আপডেটেড ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়েছেন কি না নিশ্চিত করতে হবে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অসুবিধা না হয়। আবাসিক ঠিকানার তথ্য পূরণে ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিস্তারিত ইউকেসিআইএসএ ওয়েবসাইটে জানা যাবে। 

শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যের ক্ষেত্রে কখনো কখনো প্রয়োজনীয় গ্রেড না থাকলেও আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তাই আবেদনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না পেলে আবেদনপত্রে শিক্ষক কর্তৃক অনুমানকৃত স্কোর রেফারেন্সে দিতে হবে। পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে। কোনো প্রকার স্বেচ্ছাসেবামূলক বা অবেতনভুক্ত কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে সেকশন খালি রেখে সম্পূর্ণ অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

৫টি কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনটি আগে, কোনটি পরে বাছাই করেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। 

এখানে পড়তে চাওয়ার কারণ এবং নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে একটি পার্সোনাল স্টেটমেন্ট লিখতে হবে। তারপর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য রেফারেন্স, আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। ২০২৩ ইনটেকে এক বিষয় নির্বাচনের জন্য ২২.৫০ পাউন্ড, একাধিক বিষয় নির্বাচনের জন্য ২৭ পাউন্ড আবেদন ফি ধরা হয়। ২০২৪ ইনটেকে ৫টি বিষয় পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য ২৭.৫০ পাউন্ড দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো একক বিষয়ের জন্য আবেদন ফি দিতে হবে না। 

তারপর ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে। এ পর্যায়েই অফার লেটার দেওয়া হবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে।

স্কলারশিপ 

ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ 

কলা ও মানবিক অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের প্রতি কোর্সের জন্য প্রতি বছর ২ হাজার পাউন্ড এবং প্রকৌশল অনুষদ; মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি ও স্বাস্থ্য অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের কোর্সের জন্য প্রতি বছর ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড স্কলারশিপ দেওয়া হয়। 

একাডেমিক সাফল্য সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য মনোনয়ন পেয়ে থাকে। এই স্কলারশিপের জন্য কোনো আবেদন করতে হয় না। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হলে এই স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি মওকুফ করা হয়। এ জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। 

তবে যে বছরে আবেদন করবেন সেই বছরেই পড়াশোনা শুরু করতে হবে। মেডিসিন (এ১০০/এ১০১) এবং ডেন্টিস্ট্রি (এ২০০) ব্যতীত সব আন্ডারগ্রাজুয়েট ডিগ্রি কোর্স এটির অন্তর্ভুক্ত। যোগ্যতা ও পুরস্কারের মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে অধ্যয়নের প্রথম বছরেই স্কলারশিপ নিশ্চিত করা হবে। আর বছর শেষে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি ফলাফল এবং ন্যূনতম ১২০ ক্রেডিট আওয়ার থাকলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জন্য স্কলারশিপ প্রযোজ্য হবে।

তবে ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট মেরিট স্কলারশিপ, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরিয়েট, আন্ডারগ্রাজুয়েট মেরিট স্কলারশিপ, জিইএমএস ইন্টারন্যাশনাল মেরিট স্কলারশিপ, এনসিইউকে আন্ডারগ্রাজুয়েট মেরিট স্কলারশিপ,

ডিপিএস আন্ডারগ্রাজুয়েট মেরিট স্কলারশিপ

ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব চৌইফাত মেরিট স্কলারশিপ, এনসিইউকে আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত স্কলারশিপের মধ্যে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে এমন স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবে। 

বিভাগ বা অনুষদের যেকোনো স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে, তবে স্পনসরড শিক্ষার্থী না হওয়া সাপেক্ষে। বিভাগ বা অনুষদ থেকে প্রদেয় স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে ফান্ডিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ পার্ট টাইম ও ফুল টাইম শিক্ষার্থীদের জন্য। অনলাইন বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এটির জন্য যোগ্য নয়।

ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরিয়েট মেরিট স্কলারশিপ 

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করা হয় ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরিয়েট মেরিট স্কলারশিপ পেলে। এ জন্য পূর্বে বা বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরিয়েট ডিপ্লোমা পড়তে হবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট তাইম বা ফুল টাইম আন্ডারগ্রাজুয়েট ডিগ্রির জন্য অফার লেটার থাকতে হবে। মেডিসিন (এ১০০/এ১০১) এবং ডেন্টিস্ট্রি (এ২০০) ব্যতীত সব আন্ডারগ্রাজুয়েট ডিগ্রি কোর্স এটির অন্তর্ভুক্ত। আবেদনকৃত বছরেই পড়াশোনা শুরু করতে হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় এবং অংশীদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভক্ত ডিগ্রি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এটি বিবেচ্য নয়।  

টিউশন ফি'র জন্য অবশ্যই স্ব-অর্থায়ন এবং বিদেশি টিউশন ফি প্রদানের জন্য যোগ্য হতে হবে। স্পনসরড শিক্ষার্থী হলে গ্রহণযোগ্য হবে না। 

ইন্টারন্যাশনাল পোস্টগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ 

কলা ও মানবিক অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের প্রতি কোর্সের জন্য প্রতি বছর ২ হাজার পাউন্ড এবং প্রকৌশল অনুষদ; মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি ও স্বাস্থ্য অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের কোর্সের জন্য প্রতি বছর ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এই স্কলারশিপের জন্য কোনো আবেদন করতে হয় না। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হলে এই স্কলারশিপের আওতায় টিউশন ফি মওকুফ করা হয়। এ জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে এবং অফার লেটার পেতে হবে। 

তবে ইন্টারন্যাশনাল পোস্টগ্রাজুয়েট টট মেরিট স্কলারশিপ, এনসিইউকে পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট টট স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড সাউদার্ন আফ্রিকা স্টুডেন্ট স্কলারশিপ ফান্ড, স্যার এসওয়াই চুং স্কলারশিপ, এমবিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ইন্টারন্যাশনাল পোস্টগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত স্কলারশিপের মধ্যে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে এমন স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবে। 

বিভাগ বা অনুষদের যেকোনো স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে, তবে স্পনসরড শিক্ষার্থী না হওয়া সাপেক্ষে। বিভাগ/অনুষদ থেকে প্রদেয় স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে ফান্ডিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ পার্ট টাইম ও ফুল টাইম শিক্ষার্থীদের জন্য। অনলাইন বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এটির জন্য যোগ্য নয়।

পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং পোস্টগ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট কোর্স ছাড়াও ক্রসওয়ে কোর্স এবং ইরাসমাস মুন্ডাস কোর্স এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত নয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় এবং অংশীদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভক্ত ডিগ্রি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এটি বিবেচ্য নয়।  

টিউশন ফির জন্য অবশ্যই স্ব-অর্থায়ন এবং বিদেশি টিউশন ফি প্রদানের জন্য যোগ্য হতে হবে। স্পনসরড শিক্ষার্থী হলে গ্রহণযোগ্য হবে না।

 

Comments