মার্কশিট-প্রশংসাপত্র দিতে ‘অধ্যক্ষের নির্দেশে’ ৪০০ টাকা নিচ্ছেন অফিস সহকারী

শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন অফিস সহকারী হযরত আলী (হলুদ শার্ট পরা)। ছবি: স্টার

শিক্ষার্থীদের এসএসসির মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এইচ এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে। 

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এই স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র ও মার্কশিট নিতে তাদের ৪০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। অধ্যক্ষ এইচ এম শাহ আলমের নির্দেশে টাকা আদায় করছেন স্কুলের স্টাফরা। 

স্কুলটি থেকে এ বছর ২৮৫ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাশ করেছেন বলে জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কলেজে ভর্তি শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। ভর্তি হতে এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র জমা দিতে হয়। 

তারা বলছেন, 'কলেজে ভর্তির জন্য মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র নিতে গেলে ৪০০ টাকা করে আদায় করছে স্কুল।'

সরেজমিনে আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে রেডিও কলোনি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী হযরত আলীসহ কয়েকজন। 

জানতে চাইলে হযরত আলীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অধ্যক্ষের নির্দেশেই মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় করছি।'

'এটা নিয়ম বহির্ভূত নাকি বোর্ডের নির্দেশে নেওয়া হচ্ছে, তা বলতে পারছি না,' বলেন তিনি।

তবে স্কুলে ঘুরে অধ্যক্ষ শাহ আলমকে পাওয়া যায়নি। তার অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ দেখা গেছে। টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার ফোন নম্বরে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মো. মোর্তজা আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা আদায় করা অন্যায়। এ বিষয়ে বোর্ডের কোনো নির্দেশনা নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago