লালমনিরহাটে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 
শুক্রবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা শহরের পেট্রোল পাম্প এলাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা শহরের পেট্রোল পাম্প এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলামসহ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে মেডিকেল মোড় এলাকায় যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। এ সময় তারা ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পড়েন। 

সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেয় এবং তাদের সঙ্গে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিনা কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। দলীয় কার্যালয়ে সভাশেষে আমরা তখন শান্তিপূর্ণভাবেই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম।' 

তবে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দলীয় কার্যালয়ে সভা শেষে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর চড়াও হয়।'

ছাত্রদলই প্রথম হামলা চালায় বলে তিনি দাবি করেন।

যোগাযোগ করা হলে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।'

Comments