ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের মিছিলে পদবঞ্চিতদের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সঙ্গে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির মিছিলে হামলা করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। 

আজ সোমবার সকালে শহরতলী এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিরাসার বাসস্ট্যান্ড মোড় ও খৈয়াসার সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শুক্রবার ও শনিবার নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহীনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। 

এদিকে শহরের লোকনাথ টেংকের পাড় এলাকায় দুপক্ষই আজ সোমবার কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা বিরাসার থেকে শুভেচ্ছা মিছিল শুরু করে।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। 

পরে নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের পক্ষে যুবদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীরাও প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

সংঘর্ষের বিষয়ে মন্তব্য জানতে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি ও পদবঞ্চিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় ছাত্রদলের কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি। তাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, 'ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছে। আজ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।'

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
 
যোগাযোগ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago