পটুয়াখালী

কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত ৩

এ ঘটনায় দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ শাহরিয়ার শাহাদাতকে আটক করেছে পুলিশ।
দুমকি সরকারি জনতা কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ রোববার সকালে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দুমকি সরকারি জনতা কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের ২ জন ও ছাত্রদলের ১ জনসহ মোট ৩ জন আহত হয়েছে। 

নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ছাত্রদল নেতাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ শাহরিয়ার শাহাদাতকে আটক করেছে পুলিশ।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন

আহতরা হলেন- কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান, ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু নাইম হাওলাদার এবং উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি চাকলাদার গোলাম সরোয়ার।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রোববার সকাল ১০টায় সরকারি জনতা কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে কলেজ ক্যাম্পাসের গেটে অবস্থান নেয় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

পরে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ গেটে তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় দুমকি থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।'

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি চাকলাদার গোলাম সরোয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে কলেজ গেটে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে দুমকির নতুন বাজার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ওপরেও হামলা করে। বর্তমানে আমি আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছি। 

জানতে চাইলে সরকারি জনতা কলেজের অধ্যক্ষ আ. লতিফ হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কে বা কারা আহত হয়েছে তা আমার জানা নেই।'

ওসি তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অধ্যক্ষের ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনি এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করি।' 

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
 

Comments