সোশ্যাল লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ ২০২৩: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টর্ম ট্রুপার্স’

স্টর্ম ট্রুপার্সের সদস্য (উপরের সারিতে বা থেকে) মো. রাশেদ জাওয়াদ খান, শাহরিয়ার মাহমুদ শৈশব, (নিচের সারিতে বা থেকে) সাদিয়া আফরিন এবং মাইনুল ইসলাম লাবিব। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল বিজনেস স্কুল নেটওয়ার্ক (জিবিএসএন) ও ডিএইচএল আয়োজিত 'সোশ্যাল লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ ২০২৩' এ বৈশ্বিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) টিম 'স্টর্ম ট্রুপার্স'।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার পথচলাকে আরও সুন্দর করেছে। ভবিষ্যতেও তারা সাফল্যের এই অগ্রযাত্রা ধরে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশা করি।'

প্রতিযোগিতাটির এবারের থিম ছিল, স্থানীয় কোনো লজিস্টিক্স সমস্যার সমাধানের সাপ্লাইচেইন ও লজিস্টিকাল মূলনীতির অনুসরণ করে একটি টেকনোলজিক্যাল সমাধান দেওয়া, যা এক বা একাধিক সামাজিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে।

প্রাথমিক বাছাই পর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৬২টি দল অংশগ্রহণ করে এই আয়োজনে। যার মধ্যে পাঁচটি দল বৈশ্বিক ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল 'স্টর্ম ট্রুপার্স' প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিতকরণের একটি সম্পূর্ণ ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব করে।

প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছে এশিয়ান স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, ফিলিপাইনের টিম 'সিলাঙ্গান' এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে ডব্লিউইউ ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস, অস্ট্রিয়ার টিম 'আরাহ'।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দলটির সদস্যরা হলেন—ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের মো. রাশেদ জাওয়াদ খান (দলনেতা) ও মাইনুল ইসলাম লাবিব, প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শাহরিয়ার মাহমুদ শৈশব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সাদিয়া আফরিন।

১০ বছর ধরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বিগত বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছে এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট (যুক্তরাষ্ট্র), কভেন্ট্রি বিজনেস স্কুল (যুক্তরাজ্য), কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

Comments

The Daily Star  | English

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

10h ago