নাটোরে চামড়ার সরবরাহ ভালো, দাম পেয়ে খুশি বিক্রেতা

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, করোনা ও ব্যবসায়িক মন্দার প্রভাব এবার অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।
rawhide_11jul22.jpg
ছবি: বুলবুল আহমেদ/স্টার

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা চামড়ার বাজার নাটোরের চকবৈদ্যনাথ চামড়ার মোকামে ঈদুল আজহায় ব্যাপক সরবরাহ হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি বিক্রেতা। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, করোনা ও ব্যবসায়িক মন্দার প্রভাব এবার অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।

বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। মৌসুমি ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, খাসির চামড়া প্রতি পিস ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার বাজার ভালো।

আগামী শুক্রবার থেকে নাটোর মোকামে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনতে শুরু করবেন। লবণজাত চামড়া কেনা-বেচা চলবে ২ মাস ধরে।

নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার ২ বছর ব্যবসা হয়নি। আশা করছি, এবার ব্যবসা ভালো হবে। ঢাকার ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদারের হাতে এবার নগদ টাকা আছে। কোরবানির পরপরই বিভিন্ন জেলার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় চামড়া লবণ দিয়ে রেখে দেয়, হাটের দিন নাটোরের মোকামে চামড়া নিয়ে আসে।

rawhide1_11jul22.jpg
ছবি: বুলবুল আহমেদ/স্টার

মোসুমি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর চামড়া বিক্রি করে লোকসান হয়েছে। তবে এবার সামান্য কিছু লাভ হচ্ছে।

চামড়ার আড়তদার আলী আজম বলেন, চামড়া যদি প্রক্রিয়াজাত করে স্থানীয় বাজার থেকে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করা যায় তবেই এই শিল্পের সুদিন ফিরে আসবে। অন্যথায় কোনো লাভ হবে না।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে এবং পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও নাটোরের বাজার মনিটর করছেন। এ বছর নাটোর জেলায় ১০ লাখ পিস চামড়া কেনার লক্ষ্য নিয়ে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে।

Comments