১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে

দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে। গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২.০৯ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় নিঃসন্দেহে এটা স্বস্তির খবর। 
ছবি: রয়টার্স

দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে। গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২.০৯ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় নিঃসন্দেহে এটা স্বস্তির খবর। 

গত বছর জুলাই মাসে অভিবাসী শ্রমিকরা ১ দশমিক ৮৭ বিলয়ন ডলার দেশে পাঠান। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৪ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে এবং সেটা আগের মাসের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। 

গত মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে ঈদুল আজহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৬টি অর্থ বছরের মধ্যে ২০২১-২২ সালে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল। তার কারণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর অনেকে অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তাদের টাকা দেশে পাঠান। 

গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৮ লাখ ৭৭ হাজার শ্রমিক কাজের জন্য বিদেশ যাওয়ার কারণে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ অর্থবছরে যেখানে ২ লাখ ৩১ হাজার শ্রমিক বিদেশে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি কয়েকমাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে। তবে, বর্তমানে দেশে মার্কিন ডলার পাঠানোর ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

গত সপ্তাহে দেশে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। যেটা গত ডিসেম্বরে ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৩০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার। 

 

Comments