মানবপাচার প্রতিবাদে সাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে

কলকাতার একটি স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক পাপ্পু রায়। তিনি ২০২০ সাল থেকে মানবপাচারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সাইকেল চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। তবে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে তার সচেতনতা কার্যক্রম থেকে নেই। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গত বছর সাইকেল চালিয়ে নেপালে যান। আর বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন বাংলাদেশে।
সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে পাপ্পু রায়। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার একটি স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক পাপ্পু রায়। তিনি ২০২০ সাল থেকে মানবপাচারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সাইকেল চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। তবে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে তার সচেতনতা কার্যক্রম থেকে নেই। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গত বছর সাইকেল চালিয়ে নেপালে যান। আর বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন বাংলাদেশে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাপ্পু রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের মতো জনবহুল দেশে মানবপাচার একটি ভয়াবহ সমস্যা। যে কারণে আমি সাইকেলে চালিয়ে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'করোনাকালে অভাবী ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে কিছু অসাধু চক্র। অসহায় মানুষকে ফাঁদে ফেলে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে তারা মানবপাচারের চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও মাথাচাড়া দিতে পারে।'

পাপ্পু রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের একটি বিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ান।

বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, 'গত ২৭ মে আমি আমার ঘর থেকে বের হই। এর পরদিন বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশ ঢুকি। এর পর আমি যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাইকেল চালিয়েছি। তবে শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ার কারণে আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বদলে আবারও ঢাকায় ফিরে আসছি।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ভ্রমণের শুরু থেকেই আমি চেষ্টা করেছি এদেশের মানুষের পজিটিভ চিন্তা ভাবনাগুলোকে তুলে ধরতে। সাইকেল নিয়ে যে উদ্দেশ্যে এদেশে এসেছি সেগুলো হলো- মানবপাচার বিরোধী প্রচার, দেশটাকে কাছে থেকে দেখা এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক মজবুত করা।'

সাইকেল ভ্রমণের খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি আসলে নিজের জমানো টাকাতেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করি। এর বাইরে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকেও সাহায্য নেই।'

বাংলাদেশ সফরে সর্বস্তরের মানুষের মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যেখানেই যাচ্ছি মানুষ আপনজনের মতো কাছে টেনে নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাইক্লিং গ্রুপের সদস্যরাও আমাকে সাহায্য করছেন।'

Comments