মার্কিন প্রতিবেদন

‘মানবপাচার বন্ধের সব মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ’

মানবপাচার
ফাইল ছবি

মানবপাচার বিষয়ক মার্কিন প্রতিবেদন ইউএস ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) রিপোর্টে বাংলাদেশকে গত বছর ও তার আগের বছরের মতো এ বছরও দ্বিতীয় ধাপে বা টায়ার-২ এ রাখা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক এ প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়েছে, মানবপাচার নির্মূলে ন্যূনতম যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, বাংলাদেশ সরকার সেগুলো পুরোপুরি করতে পারছে না, যদিও তা করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আগের বছরের তুলনায় সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা বেশি দেখা গেছে।'

টিআইপি প্রতিবেদনে মানবপাচারের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলকে টায়ার-১, টায়ার-২, টায়ার-২ ওয়াচ লিস্ট, এবং টায়ার-৩ এ রেখে তালিকা করা হয়।

মানবপাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে টায়ার-১ সেরা এবং টায়ার-৩ এ থাকা দেশগুলোর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।

টায়ার-৩ তালিকায় থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশ ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ এই ৩ বছর টায়ার-২ ওয়াচলিস্টে ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু কাজ করেছে। যেমন, পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা, রোহিঙ্গা পাচারের ঘটনার তদন্তে প্রথমবারের মতো গুরুত্বারোপ এবং সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে ফি কমানো হয়েছে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যূনতম মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি। যেমন-যৌনকর্মী হিসেবে মানবপাচার বন্ধ এবং পাচারের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে না।

এছাড়া ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে শেল্টারের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আগের মতোই অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে। পাচারকারীদের বিচারের রায়ে অধিকাংশকে কারাদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হচ্ছে।

এসব বিষয় মানবপাচার রোধে সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago