রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে রিজভী, শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

rizvi
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ছবি: ফাইল ফটো

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে অবস্থান করায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন আমন্ত্রণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ক্লাবের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম।

এ ঘটনায় ক্লাবের সভাপতি বিএনপি সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষক এ বি এম ওবায়দুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং ঘটনা অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার রাতে রুহুল কবির রিজভী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে যান। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি অবস্থান করেন। সঙ্গে তার স্ত্রী ও কয়েকজন বন্ধু ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগপন্থী নীল দল মনোনীত সিনেট সদস্য আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ রকম একটি খবরের বিষয়ে জানতে পেরে আমরা সোমবার ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং করি। সেখানে এ বিষয়ে ক্লাবের সভাপতির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং ঘটনা অনুসন্ধান একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

তিনি আরও জানান, রিজভী দাওয়াতে এসেছিলেন, নাকি কোনো বৈঠক করেছেন তা নিশ্চিত নয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনাটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওবায়দুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অতিথিরা আসেন। খাওয়া-দাওয়া করেন। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ক্লাবের সভাপতি। আমার আমন্ত্রণেও রিজভীসহ কিছু অতিথি এসেছিলেন। কোনো বৈঠক করা হয়নি। সাধারণ আড্ডা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কেউ গোপন বৈঠক করতে কি ক্লাবে আসবে? যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ আছে এবং অতিথিরা তাদের স্ত্রীদের নিয়ে এসেছিলেন। কেউ যদি গোপন বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে আসে তাহলে কি স্ত্রীদের নিয়ে আসবেন? আমরা যখন ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন অন্য রুমে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরাও ছিলেন। রাতে ক্লাবে এ রকম অতিথি সব শিক্ষকেরই আসে। আমরা তো কখনো এ নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি? কেন তুলবো? এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মূলত হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

10h ago