রাবিতে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগে শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মো, আশিক উল্লাহ। ছবি: ফেসবৃুক থেকে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষককে হেনস্তা করার অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত মো. আশিক উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আশিক উল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিকবার শিক্ষকবৃন্দ ও  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আজ আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শিক্ষিকা বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্তা করার প্রেক্ষিতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে, তাকে রাবি থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।'

এ ব্যাপারে প্রক্টর আসাবুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এর আগেও বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। সব অভিযোগের ভিত্তিতে ও উপাচার্যের নির্দেশনায় ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রক্টর আরও বলেন, 'তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে গেলে, সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বুধবার সকালে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা একটি বর্ষের ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন আশিক উল্লাহ। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

পরবর্তীতে প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসন ভবনে নিয়ে গেলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তার বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

14h ago